মোঃ শোয়াইব,হাটহাজারী প্রতিনিধি:
আজ বুধবার (১লা জুন) সকাল ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা শুমারি সমন্বয়কারী (চট্টগ্রাম-৬) এর উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
এসময় প্রশিক্ষক বলেন, আসন্ন ষষ্ঠ জনশুমারি সফল করতে আমাদের যা যা করা প্রয়োজন আমরা তা তা করবো। এবারের এই জনশুমারি অন্যান্য বারের চেয়ে আলাদা। কারণ এবারই দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল শুমারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে সমস্ত তথ্য ট্যাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। তিনি জোনাল অফিসার ও আইটি সুপারভাইজারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাঠ পরযায়ের শুমারিকর্মীদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিবেন, যাতে তার সুফল মূল শুমারিতে পাওয়া যায়। সরকারি নীতি নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বাস্তবায়নে এই জনশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহিদুল আলম বলেন, জন শুমারি জনকল্যাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এ তথ্য শুমারিতে যদি কোন ত্রুটি থাকে তাহলে আগামী দশ বছর পর্যন্ত এর ভোগান্তি পোহাতে হবে। রাষ্ট্রীয় বাজেট সহ সকল সুবিধা থেকে সাধারন নাগরিক বঞ্চিত হবে। তাই এই জন শুমারিতে সবাই সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি করতে সহযোগিতা করুন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রথম জনশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী আদমশুমারিকে জনশুমারি বলা হয়। বিশ্বের সকল দেশে জনশুমারি এবং গৃহগণনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাপকভিত্তিক পরিসংখ্যান কার্যক্রম। দশ বছর পর পর জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয়টি হয় ১৯৮১ সালে। ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম জনশুমারি যথাক্রমে ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। করোনার কারণে ২০২১ সালে দেশে জনশুমারি করা সম্ভব হয়নি। যা এবার ১৫ থেকে ২১ জুন এটি পরিচালিত হবে। এই সময়কে ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। শুমারি শুরুর আগে ১৪ জুন রাত ১২টাকে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট বা সময় হিসেবে ধরা হয়েছে।
Leave a Reply