আজ ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শীতের প্রকোপে বেড়েছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের


আব্দুল্লাহ আল মারুফ চট্টগ্রাম দক্ষিণ সংবাদদাতা >>> শীতে জুবুথুবু প্রাণ-প্রকৃতি। শীতের এমন প্রকোপে সাতকানিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ভাইরাস ও ঠাণ্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা।শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর-সর্দি,ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে প্রতিদিনই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভিড় করছেন আক্রান্তরা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু ও বয়স্করা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়ায় প্রতিদিনই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও রাতে বেশি শীত অনুভূত হয়। ফলে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সাকালে ১১ দিকে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, ডায়রিয়া, মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেড়েছে। চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক এবং নার্সদের। স্বল্প জনবল নিয়ে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা তারা। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৮ জন; যার মধ্যে ১৩ জন শিশু রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শীতের শুরু থেকে ঠান্ডাজনিত কারণে রোগী আসছে। গত কয়েক দিনে শীত বাড়ায় শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এ টি এম মনজুর মোর্শেদ বলেন,শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস ও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হয়। তিনি আরও জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনার জন্য যে পরিমাণ জনবল প্রয়োজন তা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাস জনিত রোগ থেকে শিশুর সুরক্ষায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কে এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গরমের সময় তেমন সমস্যা না হলেও শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নবজাতকদের শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য শীতকালীন রোগ বেশি দেখা দিচ্ছে।তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শিশুদের যাতে ঠান্ডা না লাগে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। নিউমোনিয়া ছাড়াও এসময় শিশুদের হাঁপানি থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত গরম কাপড়সহ হাতমোজা, পা মোজা পরিয়ে রাখতে হবে,ঠান্ডাজনিত রোগ। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশুদের এক লেয়ার বেশি কাপড় নিশ্চিত করুন। ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে শিশুদের ব্যবহৃত জামাকাপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা খুবই জরুরি। শীতের সময় বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগজীবাণু শিশুদের সহজেই আক্রমণ করে। ধুলাবালি শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে নাক দিয়ে ফুসফুসে ঢুকে গলায় কিংবা নাকে প্রদাহ, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছেন আক্রান্তরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর