আজ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রেলের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি থাকার পরও দোহাজারী রুটের ট্রেন বন্ধ


ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া

-এক সময়ে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের রেল যাত্রীদের অবজ্ঞার চোখে দেখত রেলকতৃপক্ষ। কারণ ঐ রুটের যাত্রীরা নাকী টিকেট করে না।রেল সেবার শুরুতেই বৃটিশ আমল হতেই চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে দৈনিক ১২টি ট্রেন আসা যাওয়া করত।কোভিট ১৯ পূর্বে নাজিরহাট শাখা লাইনের চাইতে দোহাজারী শাখা লাইনে অতিরক্ত ৪৫% রাজস্ব আয় আদায় হত। এরপরও কেন যে রেল কতৃপক্ষ টিকেটের অজুহাত দেখিয়ে দোহাজারী রুটের ট্রেন বন্ধ করে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেন তা বোধগম্য নয়। কোভিট ১৯পর পর ট্রেনের সংখ্যা কমতে কমতে একেবারে শূন্যর কৌটায়। অতচ নাজিরহাট রুটে ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা কম ট্রেনের সংখ্যা বেশী। দোহাজারী রুটে যাত্রীসংখ্যা প্রচুর কিন্তু ট্রেন নাই। এতদিন ছিল কালুরঘাট ব্রীজ সমস্যা,তা নিরসনের পর এখন ইঞ্জিন,লোকমাস্টার,রেক সংকটের অজুহাতে একেবারে বন্ধ করে দিল বোয়ালখালী,পটিয়া, চন্দনাইশ,সাতকানিয়া সহ ৪ উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটের নিয়মিত ট্রেনযাত্রী। মেডিকেল, কলেজ, টেকনিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, নিম্নবিত্ত, মধ্যেবিত্ত,স্বল্প আয়ের মানুষের চট্টগ্রামে আসা-যাওয়ার একমাত্র বাহন ছিল ট্রেন। চট্টগ্রাম -দোহাজারী রুটে ১৫টি স্টেশন হতে দৈনিক প্রায় ১২ হাজার যাত্রী চলাচল করে। অল্প সময়ে বাণিজ্যিক ভাবে লাভজনক রুট হিসাবে পরিচিতি পায়।ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এই রুটের ট্রেনগুলি বন্ধ করে দেয়।গত ৫ এপ্রিল ২১সালে চলাচলরত ২জোড়া শার্টল ট্রেন বন্ধ করে দেয়, কালুরঘাট ব্রীজ সংস্কার নিয়ে বন্ধ করে দেয় ২জোড়া ডেমু ট্রেন।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম-দোহাজারী-কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আইয়ুব আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ তালুকদার খোকন বলেন,ওয়াকিং টাইম টেবিল নং৫৩ অনুযায়ী ট্রেন নং দোহাজারী কমিউটার ১, ২ ও বন্ধ থাকা পটিয়া, দোহাজারী ডেমুট্রেন, ১১১,১১২,১১৩,১১৪ নং লোকাল ট্রেনগুল পুনরায় চালু করার দাবীতে আমরা গত ৩/৯/২৪তাং জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) নাজমুল ইসলামকে স্মারকলিপি প্রদান করি। ডিআরএম দপ্তরে মত বিনিময় সভা করি এতে উপস্হিত ছিলেন, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মোঃসাইফুল ইসলাম,চীফ কর্মাশিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম)মোঃ মাহবুবুর রহমান, চীফ অপরেটিং সুপারটেনডেন্ট (সিওপিএস) মোঃশহিদুল ইসলাম,বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) তারেক মোহাম্মদ ইমরান ও রেলওয়ে উধ্বর্তন কর্মকর্তাগন।তারা দাবি বাস্তবায়ন না করে আমাদের আশ্বাসের বাণী শুনান। পটিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি এস এম এ কে জাহাঙ্গীর বলেন, ট্রেন বন্ধ থাকায় শত শত রেলের নিয়মিত যাত্রীদের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সড়ক পথে।অতিরিক্ত টাকা ব্যয়,সময় নস্ট,অনিরাপদ যাত্রার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিদিন। যাত্রী সমিতির সমন্বয়ক আবদুল মালেক বলেন, ট্রেন যাত্রায় অল্প সময়ে,স্বল্প টাকায়,নিরাপদে গন্তব্য পৌঁছাতে পারে।যার ফলে মানুষ দিন দিন ট্রেনমুখী হন। সাংবাদিক সুজিত দত্ত বলেন, রেল কতৃপক্ষ ট্রেন বন্ধ করে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হারাচ্ছে, তেমনি হাজার হাজার যাত্রী রেল সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তির শিক্ষার্থী পুস্পিতা বলেন শীঘ্রই চট্টগ্রাম -দোহাজারী রুটে বন্ধ করা সকল ট্রেন চালু করে পটিয়া সহ চার উপজেলার সকল পেশাজীবি মানুষের রেলসেবা দিয়ে জনকল্যাণে এগিয়ে আসতে রেল উপদেষ্টার প্রতি আমরা ৪ উপজেলা বাসী জোর দাবী জানাই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর