আজ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মহেশখালির অপহরণকৃত স্কুল ছাত্রী বান্দরবান লামা থেকে উদ্ধার-মূলহোতা গ্রেফতার


আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক >>> কক্সবাজার জলার মহেশখালী উপজেলা থেকে অপহরণকৃত ষষ্ঠ শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার, অপহরণকারীর মূলহোতা কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির মধ্যম হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।আটককৃত খালেদা বেগম তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প -৪, ব্লক – ডি/১৪,কুতুপালং,উখিয়া, কক্সবাজার এ থাকতেন বলে জানা গেছে।

র‌্যাব-১৫ সূত্র জানান,ভিকটিম পিএমখালি, বাংলা বাজার, কক্সবাজার সদরের বাসিন্দা। ভিকটিম মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের,৩ নং ওয়ার্ডের জামের ছরি এলাকায় নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। সে শাপলাপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার দিন গত ২১/০৪/২৫ তারিখে ভিকটিম তার নানির ঔষধ আনার জন্য ডাক্তারের দোকানে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা তার নানা বাড়ির পাশে খালেদা নামে এক মহিলা সবার অগোচরে সুকৌশলে তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে যায়। ভিকটিমের জ্ঞান ফিরলে সে তাকে সিএনজিতে চিরিঙ্গাতে দেখতে পান।পরবর্তীতে তাকে সিএনজিতে করে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির মধ্যম হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকায় অপহরণের সাথে জড়িত জমির উদ্দিনের বাড়িতে লুকিয়ে রাখে এবং দুই লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার মহেশখালী থানায় একটি জিডি করেন। এরপর থেকেই অপহরণ এবং মুক্তিপণের বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়াতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫ এর সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল গত, রাতের বেলা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবানের লামা থানাধীন ফাসিয়াখালি ইউপির মধ্যম হায়দারনাশির গহীন পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা/ পরিকল্পনাকারী খালেদাকে আটক করতে সক্ষম হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার
সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া অফিসার,আ. ম. ফারুক আজ দুপুর ১২ টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান।জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় অপহরণকারীর মূলহোতা/পরিকল্পনাকারী খালেদা বেগম একজন রোহিঙ্গা। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প -৪, ব্লক – ডি/১৪,কুতুপালং,উখিয়া, কক্সবাজার এ থাকতেন।পরবর্তীতে তার হেড মাঝির সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় যে,খালেদা ক্যাম্প হতে সিআইসি কর্তৃক বিতাড়িত। সে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময় চুরি ও প্রতারণা করেছে যার ফলে এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকবার শালিস বিচার হয়েছে।শেষে এক পর্যায়ে তিনি দুই ভরি স্বর্ণ চুরি করে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে মহেশখালীতে চলে যায়। এছাড়াও আরো জানা যায় যে, অপহরণকারী খালেদা ক্যাম্পের মাদক,যৌনতা,চুরি ও প্রতারণসহ নানা প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর