অনলাইন ডেস্ক:
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন এলাকার বাকলিয়া সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে জামাল উদ্দিন চৌধুরীর নামক এক ব্যবসায়ীর ৬শতক জমির সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গার পাশাপাশি কেয়ার টেকারকে মারধর করে টিন শেড ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
নকল দলিল ও অবৈধ ভাবে উক্ত জায়গা নাম জারি করে নিজেদের দাবি করে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ৬ শতক জমি দখলে নিতে একের পর এক হামলা ও ভাংচুর করছে ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চৌধুরীর ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর।
জানা গেছে, ২০০২ সালে দুই সহোদর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও নাজিম উদ্দিন চৌধুরী মিলে ছয় শতক জমি ক্রয় করে। পরবর্তীতে তাদের ভাই মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী এই ৬ শতক জমি হেবা মূলে মালিক হোন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখায় বন্ধক দিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন জামাল উদ্দিন চৌধুরী। এখনও জায়গাটি কৃষি ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখায় বন্ধক রয়েছে।
জমিটি নিজেদের দাবি করে প্রতিপক্ষ এস এম মনিরুল কদির ও এস এম সাইফুল কদির দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধভাবে দখলের জন্য একের পর এক হামলার ও ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে।
দখলদারীরা গত ২০ মার্চ চার পাঁচ জনের সন্ত্রাসী নিয়ে জমির সাইনবোর্ড ভাঙচুর ও বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙে জমিতে প্রবেশ করে আসবাবপত্র সিসিটিভি ভাঙচুর করেন। এসময় অবৈধ দখলদারীরা জমির কেয়ার টেকার খোরশেদকে বেদম মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘটনার জেরে বাকলিয়া থানায় মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২ তারিখ ২৮-০৩-২০।
ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন চৌধুরীর বলেন, বাকলিয়া মৌজার বি.এস.খতিয়ান নং- ৮১১৫, বি.এস. দাগ নং- ২৯২১, ২৯২৫ এবং বি.এস. নামজারী খতিয়ান নং- ১৫৫৮৪, ২০৭৫১ বি.এস. ২৯২১। ৬ শতক জায়গা (তিন গন্ডা) ২০০২ সালে ৬ ক্রয় করার পর ২০০৫ সালে নাম জারি করেন। এবং ২০১২ সালে কৃষি ব্যাংক আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখায় বন্ধক রেখে ব্যবসায়ের জন্য ঋন নেন। এর মধ্যে ২০১২ সালের জুন মাসে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাল দলিল তৈরি করে যেখানে ২৯২১ দাগ নম্বর বসিয়ে তার মাতা মমেনা বেগমের কাছ থেকে হেবা দলিল তৈরি করার পাশাপাশি ২০১২ সালের নভেম্বরে জালজালিয়াতি করে খতিয়ান নম্বর ১১২০/১৭ থেকে আগত ২৯২১,২৯২৫ সৃজিত দেখায়। অথচ ১১২০/১৭ নম্বর খতিয়ানে এদাগে কোনো জায়গা নেই। প্রতিপক্ষের হামলায় আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মামলা করার পূর্বে আমি চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাকলিয়া থানায় জিডি করেন, জিডি নাম্বার ৩৩৪। ১৬ ফেব্রুয়ারি সহকারী কমিশনার ভূমি (এসি ল্যান্ড) বাকলিয়ার নিকট লিখিত অভিযোগ এবং ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ ফৈজুল কদিরের স্ত্রী মোমেনা বেগম ভূয়া দলিল তৈরি করেন। আবার সে দলিল হেবার মাধ্যমে তার ৬ পুত্রকে বুঝিয়ে দেন। বাকলিয়া ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কৌশলে মোমেনা বেগমের অভিযুক্ত ৬ পুত্র এস.এম.নুরুল কদির, এস.এম.নছরুল কদির, এস.এম.মনিরুল কদির, এস.এম.সাইফুল কদির, এস.এম.আজিজুল কদির, এস.এম.মাহাবুবুল কদিরের নামে ভূয়া দলিল নাম জারি করে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি বার বার দখল করতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
Leave a Reply