আজ ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩০০ গোপন লকারের সন্ধান


চাটগাঁর সংবাদ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে কর্মকর্তাদের অর্থ-সম্পদ জমা রাখার তিন শতাধিক গোপন লকারের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। লকারগুলো বর্তমান ও সাবেক ঊর্ধ্বতন ভিআইপি ব্যাংক কর্মকর্তাদের বলে জানা গেছে।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে সাবেক ও বর্তমান ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতিও পেয়েছে সংস্থাটি। চলতি সপ্তাহের যে কোনো দিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খুলতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান দুদক পরিচালক বলেন, অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার নামীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখার লকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খোলার অনুমতি পেতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে দাখিলকৃত কাগজপত্রসহ পর্যালোচনা করে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করে দুদকের অপর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, আসলে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন ডেপুটি গভর্নরের নাম আসছে। এরই মধ্যে এস কে সুর চৌধুরি গোপন লকার খুলে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। ওই অভিযানকালে দুদকের চোখে তিন শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তাদের নামে লকারের তথ্য মিলেছে।

যার মধ্যে রিজার্ভ চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ব্যক্তিদের নাম মিলেছিল। যে কারণেই দুদক মনে করছে তল্লাশি অভিযান চালানো দরকার। আমাদের ধারণা যথাযথ তল্লাশি করা গেলে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে, যা মানুষ কল্পনাও করতে পারে নাই।

দুদক ও আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইনভেন্টরি করার জন্য ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এমন অনুমতি দেন। কমিশনের অনুমতি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।

সার্বিক বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষিত লকারে তল্লাশিকালে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। ওই তল্লাশিকালে দেখা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তাদের নামে লকার রয়েছে।

অনুসন্ধানকালে দুদক টিম মনে করেছে, ওই লকারের তল্লাশি করা প্রয়োজন। সেজন্যই অনুসন্ধান টিমের পক্ষ থেকে লকার তল্লাশি করার অনুমতি চেয়েছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে দুদক টিম আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।

তিনি আরও বলেন, দুদক টিম মনে করে লকারে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রয়েছে। সেজন্যই দুদকের অনুসন্ধান টিম তল্লাশি অভিযান চালাবে। অনুসন্ধানের স্বার্থে বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংকে অভিযান চালাবে দুদক টিম।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর