১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ দৈনিক আজাদী পত্রিকায় প্রথম পাতায় প্রকাশিত’চোরাকারবারের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব কর্ণফুলীতে ডাকাত সন্দেহে দুইজনকে গণধোলাই ‘ এবং চট্টগ্রাম প্রতিদিন
নামক একটি অনলাইন পোর্টালে’ চট্টগ্রামে রাতের আঁধারে ডাকাত সন্দেহে গণধোলাই, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুজনকে উদ্ধার করল পুলিশ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয় যা আমার নজরে আসে।
প্রকাশিত রিপোর্টে আমাকে নিয়ে যা যা উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদটি সম্পুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সংবাদটি সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাজী মোঃ খোরশেদ আলম।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমি একজন সুনামধন্য ব্যাক্তি খাজা গরিব আলী পরিবহন, হালিমা স্টোর,হালিমা ট্রেডিং এবং দুটি নৌকার স্বত্বাধিকারী। আমার সুনামকে নষ্ট করার জন্য এবং চলমান মামলাকে দুর্বল করার জন্য কিছু মুখোশধারী লোক মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন। আমি এই সংবাদটি তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
আনু মিয়া প্রকাশ আনোয়ার হোসেন আনু আমার ১টি সাম্পান টেম্পু নৌকার মাঝি হিসাবে কর্মরত ছিল। সে আমাকে সাম্পান টেম্পু নৌকার ভাড়ার টাকা ঠিকমতো হিসাব দিত না। আমার স্বত্বাধিকারী হালিমা স্টোর থেকে নগদ ৮২,০০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১২ বছর আনু মিয়ার সাতে কোনো সম্পর্ক ছিল না। দীর্ঘ ১২ বছর পর এসে তান্ডব শুরু করে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। গত বছরের ২৫ জুন ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৭:৩০ ঘটিকার সময় সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট রোড, বাংলা বাজার সাম্পান টেম্পু পারাপার ঘাটে পৌছালে আনু মিয়া প্রকাশ আনোয়ার হোসেন আনু, পিতা : আবুল বশর, মাতা : মৃত লালমতি সাং-চরলক্ষ্যা ৫নং ওয়ার্ড হাজী সালাহ উদ্দিনের বাড়ি, থানা: কর্ণফুলী, জেলা: চট্টগ্রাম। আনু মিয়া পথ অবরোধ করে বলে খোরশেদ আলম তোর বেঁচে থাকার অধিকার নেই বলে কিরিচ দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু করে। পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া আমাকে গালমন্দ শুরু করে, এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারিতে থাকে। তাহাদের হাতে থাকা কিরিচ দ্বারায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে আমার বাম হাত দিয়া উক্ত আঘাত প্রতিহত করার চেষ্টাকালে উক্ত আঘাতে আমার বাম হাতের ০২টি আঙ্গুলে ও মাথায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আনু মিয়ার হাতে থাকা কিরিচ দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে পেটে আঘাত করিতে চাইলে আমি ঘুরিয়া গেলে উক্ত আঘাত বাম পায়ের হাঁটুর উপরে ও হিপের নিচে লাগিয়া কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। আমার পরিহিত শার্টের পকেটে থাকা নগদ ১১,৭৬২/-টাকা এবং প্যান্টের পকেট হইতে নগদ ২৫,০০০/-টাকা চুরি করিয়া নিয়া যায়। আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া আমাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের ওয়ার্ড নং-০২, বেড নং-১৩ এ ভর্তি করে তাদের বিরুদ্ধে আমার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমীন বেবী বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় মামলা করেন। যাহার মামলা নং-১২/৮৫। বতর্মানে মামলাটি চলমান রয়েছে।
তার দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ায় এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ বেলা ১২:০০ ঘটিকার সময় সদরঘাট থানাধীন বাংলা বাজার ঘাটে আমার সাথে দেখা হইলে পূর্বের দাবীকৃত টাকা না দিলে আমাকে হত্যা করিবে বলে হুমকী প্রদান করে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাত অনুমান চ০৮:৩০ ঘটিকার সময় আনু মিয়া প্রকাশ আনোয়ার হোসেন আনু, মো. জানে আলম, পিতা-মৃত বেচু মিয়া,সাং-ইছানগর,৮নং ওয়ার্ড, মালেক মাঝির বাড়ী,থানা-কর্ণফুলী, জেলা-চট্টগ্রাম। তারা দেশীয় অস্ত্র সহ নিয়ে কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের পশ্চিম চরলক্ষ্যা মৌলভী বাজার ০৭নং ওয়ার্ডস্থ আমার বসত বিল্ডিংয়ের ২য় তলার দরজা ভাঙ্গিয়া ঘরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। আমাকে ঘরে না পাইয়া ঘরে থাকা ০৩টি আলমারি,০২টি কাচের সু-কেইস, ০২টি খাট, ০১টি এলইডি টেলিভিশন, ০১টি ডাইনিং টেবিল, কাঁচের মূল্যবান জিনিসপত্র, ০৩টি জানালা ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫,০০,০০০/-টাকার ক্ষতিসাধন করে। ভাংচুর করার সময় চিৎকার করিয়া বলিতে থাকে আমাদের দাবীকৃত ১২,০০,০০০/-টাকা না দিলে আমাকে যেখানে পাইবে সেইখানে মারিয়া ফেলিবে বলে বাড়ীতে ভাংচুর করিতে থাকিলে আমার বিল্ডিংয়ের সামনের দোকানদার মোঃ হোসেন মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে জানাইলে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করেন। তাৎক্ষনিকভাবে কে বা কারা মসজিদের মাইকে ইব্রাহিম মুন্সী বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে বলে মাইকে ঘোষণা করে। সাথে সাথে পুরো মহল্লাবাসী আমার বাড়িতে ঘেরাও করে ফেলে। আমি বাড়িতে আসিয়া দেখি যে, স্থানীয় লোকজন ডাকাত ভাবিয়া তাদেরকে আমাদের বিল্ডিংয়ের চার দিক থেকে ঘিরিয়া রাখিয়াছে। পরবর্তীতে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে আনু মিয়া প্রকাশ আনোয়ার হোসেন আনু বিল্ডিংয়ের ২য় তলার বারান্দার গ্রিল কাটিয়া পালানোর জন্য লাফ দিলে নীচে পড়িয়া আহত হয় এবং উত্তেজিত জনতা মারধর করে। মো.জানে আলমকে ২য় তলা হইতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের দেশীয় অস্ত্রসমূহ জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে কর্ণফুলী থানায় মামলা হয়। যাহার মামলা নং-১৩।
প্রকাশিত সংবাদটি অসত্য,সম্পুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মনগড়া সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছাপানো হয়েছে, যা একটি কুচক্রী মহল আমার সুনামকে নষ্ট করার জন্য এবং চলমান মামলাকে দুর্বল করার জন্য সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রয়াসমাত্র। তাই গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে। আমার পরিবারসহ স্থানীয় এলাকাবাসী প্রকাশিত এই সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোহাম্মদ খোরশেদ আলম
সাং-পশ্চিম চরলক্ষ্যা, মৌলভী বাজার,খোরশেদ আলম এর নতুন বাড়ি, ওয়ার্ড নং-৭,
থানা-কর্ণফুলী,জেলা- চট্টগ্রাম।
Leave a Reply