আজ ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পটিয়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


ফারুকুর রহমান বিনজু, পটিয়া

পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্হ ভাংগাপুল এলাকায় মোহাম্মদ ইউনুচকে হত্যার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।গত ৯ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার স্হানীয় এক রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনুচের স্ত্রী আছমা আকতার। বক্তব্য বলেন,গত ২১ডিসেম্বর ২৪ইং হাইদগাঁও ইউনিয়ন ভাংগাপুলস্হ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।

উক্ত ঘটনায় আহত হয়ে ৩০ডিসেম্বর মারা যায় সামসুল আলম। ঐ ঘটনা কে কেন্দ্র করে আমার স্বামী ইউনুচ, ১৬বছরের স্কুল ছাত্র সহ ১৬জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলায় দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সামশুর সাথে যাদের জমির বিরোধ আছে তাদেরকেই আসামী করা হয়। সামসুর সাথে ইউনুচের সম্পত্তি নিয়ে থাকা বিরোধ স্হানীয় প্রতিনিধিরা উভয় পক্ষকে নিয়ে তা মিমাংসা করে দেন। এরপর ও সামসু আমাদেরকে প্রায় সময় হয়রানি ও হুমকি দিয়ে থাকেন। কয়েক বছর আগে আমার স্বামীর জমি দখলে নিয়ে দেয়াল দিয়ে দেন। পটিয়া থানায় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ১৪ডিসেম্বর অভিযোগ করলে পুলিশ উভয় পক্ষকে ডাকলেও সামসুল অনুপস্থিত থাকেন। ২১ডিসেম্বর বিকালে সামসুর নেতৃত্বে কয়েকটি সিএনজি মোটরসাইকেল যোগে সন্ত্রাসী দিয়ে ভাংগাপুল এলাকায় আমার স্বামীর দোকানে হামলা করে।

ইদ্রিস, জাকারিয়া, জামাল, কামাল, আয়ুবআলী, মামুন, বক্কর, দানুকে ঘটনাস্থলে দেখতে পায় এলাকাবাসী। সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে রাম দা দিয়ে কোপ মেরে আহত করে দোকানের ক্যাশের টাকা লুট করে নিয়ে যায়।দোকানের মালামাল ফ্রিজ বিদ্যুত তার নস্ট করে যা এখন পড়ে আছে।ঘটনা দেখে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও সামসুল আলমকে এলাকাবাসী ধরে ফেলেন। জনতার রোষানলে পড়ে হাতহাতিতে আহত হয় সামসুল। পুলিশ এসে আহত অবস্হায় দুজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গণপিটুনির ঘটনায় আমার স্বামী বা মামলার আসামি কেউ জড়িত নয়। কিন্তু পুলিশ সামসুল আলমের পক্ষে মিথ্যা মামলা নিলেও আমার স্বামী পক্ষে করা মামলা গ্রহণ করেন নি। মারা যাওয়া সামশুল আলমের পাহাড়ে তার কোন বাগান নাই,তিনি বসবাস করেন পৌরসদরে নিজস্ব বাসভবনে। ফলে ঘটনার দিন পাহাড়ে নয় তিনি দলবল নিয়ে এসেছেন আমার স্বামীকে হত্যা করতে। তাই কাউকে বিভ্রান্ত না হতে এবং আমার স্বামীর নিঃস্বার্থ মুক্তি, নিরীহ ব্যাক্তিদের হয়রানী থেকে রেহাই দেয়ার প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর