আজ ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উখিয়া-টেকনাফে আইওএম কর্তৃক বিনা নোটিশে ২শতাধিক কর্মী ছাঁটাই


শ.ম.গফুর, (উখিয়া) কক্সবাজার:

কক্সবাজারের বৃহৎ শরণার্থী শিবির উখিয়া- টেকনাফে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং তাদের সহযোগী দেশীয় বিপিও কোম্পানি এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ২শতাধিক কর্মীকে বিনা নোটিশে,কোন কারণ ছাড়াই ছাঁটাই করা হয়েছে।প্রতিবাদে ও তাদের পুনরায় চাকরিতে বহাল করাসহ ৪দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যেরে শিকার চাকরি হারা সংস্থা দুইটির কর্মীরা। কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তারা।

মানববন্ধনে তারা বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত ছিল স্থানীয়রা। অথচ এতো দিন হলেও বেতন রয়ে গেছে আগের মতোই। দুই দিনের জায়গায় পান মাত্র একদিনের সাপ্তাহিক ছুটি। বাড়ছে কাজের পরিধিও।আন্দোলনকারী কয়েকজন এনজিও কর্মী বলেন, নিজেদের প্রতি প্রহসনের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় টানা এক সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। যারা কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করেছে তারা বেশিরভাগ উখিয়া ও টেকনাফের ১৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত ৬শতাধিক মানবাধিকারকর্মী ও উন্নয়ন কর্মী।

তারা আরও বলেন, কর্মবিরতিতে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিয়োজিত দেশীয় বিপিও কোম্পানি এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বিনা নোটিশে নিয়োগপ্রাপ্ত ২শতাধিক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।পুনরায় চাকরিতে বহাল করার দাবি জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা প্রথমে ৪দফা ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি নিয়ে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে এনরুট এবং আইওএম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি ই-মেইল এবং শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতির মাধ্যমে অবগত করা হলেও কোনো সমাধান করেনি। উলটো সংস্থা দুইটি নিয়মবহির্ভূতভাবে উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ২শতাধিক স্থানীয় এনজিওকর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মানবাধিকার ও উন্নয়নকর্মীরা রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক হিসেবে ৪দফা দাবিসহ বৈষম্যমুক্ত এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা ও পুনরায় কর্মের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

প্রসঙ্গত: গত এক সপ্তাহ ধরে উক্ত সংস্থা দু’টির কর্মীরা ৪দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন করে আসছিল। আন্দোলনে অংশ নেওয়া ২শতাধিক সামনের সারির কর্মীকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গত রবিবার সন্ধ্যায় বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর