নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ইউএনও’র নাম ভাঙ্গিয়ে দিন দুপুরে ফসলি জমির টপসয়েল লুট চলছেই। পরিবেশ বিধ্বংসী এ অপকর্ম দিন দুপুরে চললেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাহারছড়া খাইচ্ছা বিলের ফসলি জমির টপসয়েল লুটে ডজনাধিক ডাম্পার জমির বুকে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে মাটি ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রি করছে একটি চক্র ।
সরকারি রাস্তা কেটে ডাম্পার ও মাটি কাটার স্কেভেটর নিয়ে গেছে ফসলি জমির বুকে। দিন দুপুরে স্কেভেটর দিয়ে জমির টপসয়েল লুট কারা করছে চালকদের কাছে জানতে চাইলে চালকদের কল পেয়ে তিন যুবক দ্রুত এসে প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা করেন।ব্যর্থ হয়ে মাটি গুলো ইউএনও’র সাথে কথা বলে পাশের স্কুলে এবং কবরস্থানে নিচ্ছে বলে দাবি করে। ঘটনাস্থল থেকে ইউএনওকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। পরে মাটি কাটায় জড়িত এক যুবকের মোবাইলে কল দিয়ে এক লোক নিজেকে টিকাদার ফজলে রাব্বি পরিচয় দিয়ে মাটি গুলো ইউএনও’র অনুমতি নিয়ে পাশের স্কুলের ভরাট কাজে ব্যবহার করছে বলে দাবি করে। স্কুলের নির্মাণ কাজে ফসলি জমির ব্যবহার এবং ভরাট কাজে ফসলি জমির মাটি ভরাটে অনুমতি ইউএনও দিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে সুদুত্তর দিতে না পেরে প্রতিবেদকের মোবাইল নং চান। পরে একই ব্যক্তি এক রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে নিজেকে এলজিইআরডি’র প্রকৌশলী দাবি করে তাকে একটু দেখার অনুরোধ জানান।
এদিকে চলতি শুষ্ক মৌসুম শুরুর পর থেকেই উপজেলার তিনটি পয়েন্ট থেকে রাত দিন টপসয়েল লুটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দৈনিক ম্যানেজ ফি লাখ টাকা এবং রাতে পয়েন্টে এসেই ম্যানেজ ফি নিয়ে যায় বলে গোপন সুত্রে প্রকাশ।
অপরদিকে উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়ার ঘোনাপাড়া ও লালসরি পাড়ার ফসলি জমি থেকে মাষ্টার আমান উল্লাহর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট নিয়মিত টপসয়েল লুট করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জেনেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয়রা প্রশাসনকে জানালে উল্টো রহস্যজনকভাবে থানায় অভিযোগ করতে বলে। উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউএনও বিমল চাকমার মোবাইলে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply