সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে ‘নারী আসলে কিসে আটকায়?’ পৃথিবীর ধনী, ক্ষমতাধর, সুদর্শন কিংবা সুকণ্ঠের পুরুষেরা যখন তাদের সঙ্গীদের ভালোবাসায়, সংসার জীবনে আটকে রাখতে পারছেন না, তখনই এ প্রশ্নের অবতারণা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও তর্কে যোগ দিয়েছেন বিনোদন জগতের তারকারাও। এবার এর জবাব দিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খান। তার মতে, নারীরা জায়েদ খানে আটকায়।
শনিবার (১২ আগস্ট) চলচ্চিত্রের একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এই নায়ক। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, সুন্দরী নারীরা জায়েদ খানে আটকায়। এবার আমেরিকা গিয়ে আবারও তার প্রমাণ পেয়েছি। সব ছেলেরা আমার পোস্টে ব্যাড কমেন্টস করেছেন। তেমন এক স্বামী আমার পোস্টে বাজে কথা লিখেছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী আমার ইনবক্সে এসে বলেন, ‘ভাইয়া, কিছু মনে করবেন না। বাসায় শুধু আপনার কথা বলি, তাই আমার স্বামী বাজে মন্তব্য করেছেন। ছেলেরা এখন আমাকে জেলাস করে।’
কানাডার ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিচ্ছেদের পর এই ‘আটকানো’ বিষয়ক ট্রেন্ড চালু। বিশ্বের সেরা ধনী বিল গেটসের অর্থ, ফুটবলার হাকিমির জনপ্রিয়তা, প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ভালোবাসা, সংগীতশিল্পী জনপ্রিয় তাহসানের কণ্ঠ কিংবা বলিউড সুপারস্টার হৃতিক রোশনের স্মার্টনেস- কোনও কিছুই নারীকে আটকাতে পারেননি। এদের প্রত্যেকের সঙ্গে তাদের জীবন সঙ্গিনীদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। তাহলে নারী কিসে আটকায়? মজার ছলে তারই উত্তর দিলেন অভিনেতা জায়েদ খান।
২০২২ সালে প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ও অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের পডকাস্টে অংশ নেন সোফি ট্রুডো। তাদের আলাপে উঠে আসে নারীর প্রতি প্রত্যাশার কথা; আর কীভাবে খোদ নারীরাই নিজেদের ওপর এই প্রত্যাশার বোঝা চাপান- উঠে আসে সে কথাও। সোফি বলেন, একজন নারীকে বহু ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়।
এ সময় বিষয়টির এর ব্যাখ্যাও দেন সোফি, তিনি বলেন. ‘বিশ্বজুড়ে নারীরা এখনো পরিবারের প্রাণকেন্দ্র। ঘরের কাজের বড় অংশের চাপ এখনো তারাই সামলান। পরিবারের ভালো থাকায় যেমন বিনিয়োগ করেন, তেমনি সন্তাদের ব্যাপারে বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু আমি মনে করি, ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই সেই সিংহী, আমাদের সবার ভেতরেই সিংহীর শক্তি আছে এবং আমরা সবাই আসলে আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য ছটফট করি।’
Leave a Reply