অনলাইন ডেস্কঃ হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (স.) জাকাতুল ফিতরকে রোজাদারের বেহুদা কথা ও কাজ এবং পাপ থেকে পবিত্র করা এবং নিঃস্ব অসহায় মিসকিনদের খাবারের উদ্দেশ্যে ওয়াজিব করেছেন। যে ব্যক্তি তা ঈদের নামাজের পূর্বে আদায় করে সেটি আল্লাহর কাছে কবুল হয়। আর যে ব্যক্তি তা ঈদের নামাজের পর আদায় করে তা অন্যান্য দান সদকার মতো বিবেচিত হবে (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬০৯; ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৮২৭; মুস্তাদরাকে হাকেম; ১/৪০)।
ফিতরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে না থাকলেও এটির গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামে এটি ওয়াজিব ইবাদত। যাকাত অর্জিত সম্পদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য দেওয়া হয় আর ফিতরা রমজান মাসে রোজাদরদের ভুল-ত্রুটির কাফ্ফারা ও সাদাকাহ হিসাবে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন এবার সর্বনিম্ন ফিতরা ১১৫ টাকা
পবিত্র কুরআনে সদকাতুল ফিতর প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মূলত সদকা হলো ফকির, মিসকিন, জাকাতকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তওবা, আয়াত: ৬০)
সদকাতুল ফিতর যাদের দেওয়া যাবে না তারা হলেন, মা–বাবা, দাদা-দাদি ও নানা-নানি, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি, স্ত্রী। একইসাথে ধনী লোক, যারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক।
এ বছর ২০২৪ সাল অর্থাৎ ১৪৪৫ হিজরি সনে বাংলাদেশে সদকাতুল ফিতর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেনে রাখা ভালো, যার ওপর যাকাত ওয়াজিব হয় তার ফিতরা আদায় করাও ওয়াজিব হয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র : সংগৃহীত