সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ফেইথস ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগের সহযোগিতায় এসডিজি এজেন্ডায় ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা এবং ধর্মীয় বিবেচনা বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) নগরের একটি আবাসিক হোটেলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী, মানসম্মত শিক্ষা এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজের মতো সাসটেইনেবল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের উচিত ধর্মীয় বিশ্বাস ও উন্নয়নের সংযোগস্থলে আলোকপাত করা।
এসডিজি-১৬ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ অর্জনে সংবাদ মাধ্যমগুলো কীভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসের খবর আরও ভালভাবে প্রচার করতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
‘এসডিজি অর্জনে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভূমিকার বস্তুনিষ্ঠ কাভারেজ জোরদার করা’ শীর্ষক বাংলাদেশি সাংবাদিকদের জন্য এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় দ্বন্দ্ব-সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এবং দ্বন্দ্ব সমাধানের সর্বোত্তম অনুশীলনসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এসডিজি ১৬ অর্জনের লক্ষ্যে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পক্ষপাতিত্ব, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং ভুল তথ্য প্রকাশ না করার ওপর আলোকপাত করা হয়। কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়া হাউজের সাংবাদিকরা অংশ নেন।
কর্মশালার মডারেটর ও সি-ক্যাবের কার্যনির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল মাহমুদ বলেন, এসডিজি অর্জনে ধর্মীয় নেতা ও বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের উচিত এর ওপর আলোকপাত করা।
সাংবাদিকতা ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা বলেন, দ্বন্দ্ব-সংবেদনশীল সাংবাদিকতা এমন একটি লেন্স যা ভারসাম্য এবং বস্তুনিষ্ঠতার ওপর জোর দেয়।
সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ সময়োপযোগী, নির্ভুল এবং কার্যকর তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য মিডিয়া এবং কৌশলগত যোগাযোগের বিষয়গুলো ব্যবহার করে, যা সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র বাংলানিউজ২৪