আজ ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছবি: মীরসরাইয়ে শীতকালীন সবজির পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক ফস

মীরসরাইয়ে এখন কৃষকের মাঠে হাসছে শীতকালীন সবজি


শিহাব উদ্দিন শিবলু, মীরসরাইঃ চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহত্তম সবজি ভান্ডার হিসেবে পরিচিত মীরসরাই উপজেলার মাঠে এখন শীতকালীন সবজির সমারোহ। প্রতিবছর শীতকালীন সবজি চাষ করে কম-বেশি লাভবান হয় এখানকার কৃষকেরা। উপজেলার মাঠগুলোতে এখন রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজিতে মাঠে মাঠে সবুজের হাসি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় চলতি বছর ১৮০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। বিভিন্ন কৃষি জমিতে ৬৫০ হেক্টর শিম, ১১৫০ হেক্টর জমিতে লাল শাক, পালং শাক, মুলা শাক, বেগুন, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি, লাউসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ ক্ষেতে সবজি তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কীটনাশক স্প্রে করছেন। কেউবা জমির আগাছা পরিচর্যা করছেন। রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজি নিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন কর্মব্যস্ততা দেখা গেছে। ওয়াহেদপুর, খৈয়াছড়া, আমবাড়িয়া, দুর্গাপুর, আজমনগর সহ বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে এখন মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বরবটি,লাউ, মরিচ, টমেটোর চাষ চলছে। সকাল-সন্ধ্যা সবজিতে পরিচর্যা করছেন। আবার অনেকেই আগাম সবজি মাঠ থেকে তুলে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। এরইমধ্যে অনেক কৃষক শীতকালীন আগাম সবজি চাষ শেষ করেছেন। এগুলো তুলে ওই জমিতে নতুন করে সবজি চাষে আবারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

হিঙ্গুলী এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এ বছর অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৩০ শতক জমিতে আগাম খিরা চাষ করেছি। আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৫ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছি। আরও প্রায় দেড় মাস বিক্রি করা যাবে। সব মিলিয়ে ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।’
দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এবার প্রথমে লাউ চাষ করেছি। সেগুলো প্রায় বিক্রি শেষ হয়েছে। দামও ভালো পেয়ছি। ৩৫ শতক জমিতে বরবটি চাষ করেছি, সেগুলোর মেরামত চলছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ভালো ফলন হবে আশা করছি।’

মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, ‘ প্রতি বছরের মতও এবার প্রায় ২৫ শতক জমিতে লাল শাক ও মুলা শাক আবাদ করেছি। বাজারে কিছু বিক্রি করেছি। আরো ১০ থেকে ১৫দিন বিক্রি করতে পারবো। ৩০ শতক জমিতে লাউ চাষ করেছি। পুরো শীতের পুরো মৌসুমে লাউ বিক্রি করতে পারবো।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় ১৮০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে ও বাজার দর ভালো থাকলে শীতকালীন সবজি চাষে বেশ লাভবান হওয়া যায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর