অনলাইন ডেস্কঃ ঈদ হোক কিংবা পুজো অথবা যে কোনো উৎসব আমাদের দেশে তা নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কী অভিশাপ? তা নাহলে এ ধরনের উপলক্ষ্যে কেন বাড়ে নিত্যপণ্য বা আমিষের দাম?
প্রতিবারের মতো এবার ঈদেও অদৃশ্য কলকাঠিতে বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগিসহ অন্যান্য আমিষের দাম। তা নিয়ন্ত্রণে মাঠে কার্যকর পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার।
চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের আগে হঠাৎ করেই বেড়েছে ব্রয়লার-সোনালিসহ অন্যান্য মুরগির দাম। রোজার শুরুতে ব্রয়লারের দাম ১৯০ থেকে ২’শ টাকা ছিলো যা শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিক্রি হ”েছ ২৩৫ টাকায়। দোকানিরা বলছেন, বাজারে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারিরা দাম বাড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন সারের দোকানে অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড
এদিকে বাজারে গরুর মাংসের দামও এখন চড়া। আর চাল, ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনের মতো নিত্যপণ্যগুলোর দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল আছে। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, খামারিদের চড়া দামে বাচ্চা কিনতে হচ্ছে এবং বাচ্চার বাজারে কতৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। মুরগির খাবার ও ওষুধের দামও বাড়তি। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচের প্রভাব পড়েছে বাজারে।
বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকায় বিক্রি হ”েছ। দু-এক জায়গায় তো ৮০০ টাকা কেজিও দেখা গেছে। খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। মাছের বাজার নতুন করে চড়া না হলেও এখনো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৫ মার্চ মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিš‘ তিন সপ্তাহ পরও দর বেঁধে দেওয়ার কোনো প্রতিফলন নেই বাজারে। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যগুলো।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার আশপাশে।
Leave a Reply