অনলাইন ডেস্কঃ বহাদ্দারহাট মোড়ে প্রতি ঘণ্টায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করে। চারিদিকে সংযোগ সড়ক থাকায় এই মোড়ে গাড়ির চাপও থাকে বেশি। ফলে এখানটায় সড়ক পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায়শ ঘটে দুর্ঘটনা। বিষয়টি বিবেচনা করে সেখানে একটি পাতাল পথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এটি হচ্ছে চট্টগ্রামের প্রথম আন্ডারপাস। এ পথে কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই পারাপার করতে পারবে জনগণ।
এই আন্ডারপাসের দুটি প্রবেশ পথ থাকবে; বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের সামনে একটি এবং আরাকান রোডের উত্তর পার্শ্বে অন্যটি। ৪১ দশমিক ২ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার প্রশস্ত আন্ডারপাসটির উচ্চতা হবে ৪ মিটার। দুই প্রবেশ মুখে একটি করে দুটি সিঁড়ি এবং একটি করে দুটি স্কেলেটরও (চলন্ত সিঁড়ি) থাকবে। আন্ডারপাসের দুই পাশে মোট ২০টি দোকান নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি দোকানের জন্য আন্ডারপাসের ২ দশমিক ৭৫ মিটার জায়গা লাগবে। মাঝখানে সাড়ে ৪ মিটার (প্রায় ১৫ ফুট) জায়গা থাকবে মানুষের হাঁটার জন্য।
চলন্ত সিঁড়ি রাখার কারণ
সড়ক পার হতে বয়স্ক এবং অসুস্থদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া বহদ্দার হাটে একটি বাজার রয়েছে। অনেকে বাজার করে রাস্তা পার হতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান। স্কেলেটর থাকলে এসব সমস্যা অনেকটা লাঘব হবে।
আরও পড়ুন চসিকের সাধারণ সভায় ৬ বিষয়ে গুরুত্ব
জলাবদ্ধ প্রবণ এলাকা
বহদ্দারহাট একটি জলজলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকা। ভারী কিংবা মাঝারি বর্ষণ হলে এ এলাকার সড়কগুলোতে পানি উঠে যায়। এক্ষেত্রে পাতাল পথ ডুবে যাবে না তো?
না। আন্ডারপাসে যেন পানি প্রবেশ না করে, সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে দুই প্রবেশমুখে ক্যানোপি (আচ্ছাদন) থাকবে। ক্যানোপির ফলে পানি ঢুকতে পারবে না। এছাড়া এটি ফ্ল্যাড লেবেল থেকে অনেক উঁচু হবে। মূল সড়কের পাশে যে ফুটপাত, তার চেয়ে আরো দুই ফুট উঁচু হবে সেটি। এরপরও যদি কোনো কারণে পানি প্রবেশ করে, তা নিষ্কাশনে দুইটি পাম্প থাকবে সেখানে। এতে করে কোনো পানি আন্ডারপাসে জমে থাকতে পারবে না।
কত টাকা ব্যয় হবে, কতদিন লাগবে
আন্ডারপাসের নকশা প্রণয়নে কাজ করেছে ‘ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট লিমিটেড (ডিপিএম)’। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে নকশা প্রণয়ণের কাজ শেষ করেছে সংস্থাটি। আন্ডারপাসটির সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে দরপত্র জমা নেয়ার কাজ চলছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, গত ২৭ তারিখ দরপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় যেটি ছিলো সেটি আরো দশদিন বাড়ানো হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়নের পর দ্রুত কার্যাদেশ দেয়া হবে। কার্যাদেশ দেয়া ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’
অর্থাৎ বলা যায়, ২০২৫ সালের মধ্যে প্রথম পাতাল পথ উপহার পেতে চলেছে চট্টগ্রামবাসী।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত
Leave a Reply