অনলাইন ডেস্কঃ আপনি কী জানেন, পৃথিবীতে ঘাড় ব্যথা নামের একটি পাখি আছে? তবে বাংলাদেশে এ পাখিটিকে মেঠো কাঠঠোকরা নামে ডাকা হয়। পাখিটির জিনক্স টরকিলা বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ইউরেশীয় ঘাড়বাঁকা বা ইউরেশীয় ঘাড়ব্যথা।
পাখিটির নামকরণ ঘাড় ব্যথা কেন করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা না করলেও পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ ঘাড় ব্যথা রোগে কেন আক্রান্ত হচ্ছেন এবং প্রশমনে করণীয় কী তা পাঠককে জানাতে চাই।
ঘুম থেকে উঠে অনেকে ঘাড়ে তীব্র ব্যথা বোধ করেন। অনেক সময় এ ব্যথা মেরুদন্ড এমনকি পিঠ অবধি ছড়িয়ে পড়ে। তখন ঘাড় ঘুরানো তো দূরে থাক কথা বললেও অসুস্থ বোধ হয়।
ঘুমের সময় কেন হয় ঘাড় ব্যাথা
ঘুমানোর সময় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বস্তুটি হলো বালিশ। কেউ ছোট বা চ্যাপ্টা বালিশ, কেউ বড় বা উঁচু, আবার কেউ মাঝাারি আকারের বালিশে মাথা রেখে ঘুমাতে স্বস্তি বোধ করেন। অর্থাৎ এটির সাইজ একেকজন মানুষের কাছে একেক রকম পছন্দের হয়ে থাকে। যে যে ধরনের বালিশে মাথা রেখে ঘুমাতে পছন্দ করেন না কেন; একপাশ ফিরে ঘুমানোর সময় মাথা বালিশের কোনায় চলে আসলে ঘাড় ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া যারা উপুড় হয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন তাদেরও ঘন ঘন ঘাড়ে ব্যাথা হতে পারে।
আরও পড়ুন ছোলা বা তৈলাক্ত খাবার খেয়ে পেটে গ্যাস, প্রশমনে যা করবেন
প্রশমনে যা করবেন
প্রথমে নিজের জন্য স্বস্তিদায়ক বালিশ নির্বাচিত করুন। যারা একপাশ ফিরে ঘুমাতে পছন্দ করেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে মাথা যেন কোনোভাবে বালিশের প্রান্তে চলে না আসে। অর্থাৎ একপাশ ফিরে ঘুমালেও মাথা থাকতে হবে মিডল সেন্টারে।
এছাড়া প্রশমনের আরেকটি উপায় হলো বালিশ রোদে দেওয়া। বালিশ রোদে দিলে বালিশের তুলা কিংবা অভ্যন্তরীন বস্তু স্ফীত হয়ে নরম ও আরামদায়ক হয়ে যায়। পরবর্তীতে ঐ বালিশে মাথা রাখলে ঘাড়ের মাংসপেশিতে সমস্যার আশঙ্কা কমে। তবে বালিশ রোদে দিলে এ ব্যথা সারবে, এমন ভাবনার সাথে বৈজ্ঞানিক কোনো যোগসূত্র নেই।
ওষুধ
চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোনো ওষুধই সেবন করা উচিত নয় এবং প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসি গুলোতেও ওষুধ পাওয়া যায় না। যাদের ঘন ঘন ঘাড় ব্যথা হয় তাদের অনেকে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকেন কিন্তু ব্যথা প্রশমন হয় না। এক্ষেত্রে ক্লফ (clof) নামের একটি ওষুধ রয়েছে। অসহনীয় ব্যথায় কেউ ভুগলে ভরাপেটে এটি সেবন করতে পারেন। সম্ভব হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এটি সেবন করা উচিত।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত
Leave a Reply