অনলাইন ডেস্ক
রাজনৈতিক প্রোগ্রামগুলোতে দীর্ঘ দিন ধরে বিএনপি ও জামায়াতের আগের মতো মিতালি নেই। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিএনপি যেখানে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছে, সেখানে এই সরকারকে আরও বেশি সময় দেওয়ার পক্ষপাতী জামায়াত। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, জামায়াতের সঙ্গে তার দল আর জোটবদ্ধ অবস্থায় নেই। তবে নির্বাচন এলে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গাটছড়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দিচ্ছেন না তিনি।
মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক মিত্র। কিন্তু আপনি কিছু সময়ের জন্য জামায়াত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন বলে মনে হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের অবস্থান কী?
এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন- জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট অনেক আগেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে একযোগে সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। আগের শাসনের পতন পর্যন্ত এভাবেই আমাদের প্রচারণা চালিয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আছে। শিগগিরই নির্বাচন হবে এই বিবেচনায় আমরা অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তাই সামগ্রিক রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন। তবে এই মুহূর্তে আমরা জোটে নেই।
আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে করার কোনো সম্ভাবনা আছে কি-না? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন- এটি এখনই বলা যাবে না। নির্বাচনের পূর্বে জনমত দেখব। এককভাবে করলে ভালো হলে, তাই করব। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করা ভালো হলে সেটিও করতে পারি। নির্বাচনের সময় যাকে নিয়ে নির্বাচন করলে আমরা ভালো করতে পারব, তাকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করব।
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। দলটির বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারে, নির্বাচনেও আসতে পারে। কিন্তু জনগণের মধ্যে ফেরার সম্ভাবনা অদূর ভবিষ্যতে কম দেখছি।
জোরালো গুঞ্জন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন- বাংলাদেশে এর আগে এ ধরনের চেষ্টা বহুবার করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল সাধারণত আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে উঠে আসে। এটা তার মূল ভিত্তি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠন করতে হলে আলাদা বিপ্লবের বিষয় থাকে। কিন্তু এখানে দল গঠনের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত জনগণের সমর্থন।