আজ ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

উন্নয়ন প্রকল্পের বর্ধিত ব্যয়ে কী ন্যুব্জ অর্থনীতি?


অনলাইন ডেস্কঃ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। কিন্তু চীনা এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নের নানা জটিলতার কারণে এটি বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময় পিছিয়ে যায়।

সর্বশেষ ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়াদও বেড়েছে। ফলে এ প্রকল্পে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুমদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিলো। সেসময় ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম: ভারতীয় হাই কমিশনার

উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে অর্থায়নের বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রথম পর্যায়ে সিঙ্গেল লাইন মিটার গেজ ট্র্যাক নির্মাণের কথা থাকলেও পরে মিটার গেজের পরিবর্তে ডুয়েল গেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ফলে প্রথম সংশোধনীতে ১৬ হাজার ১৮২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে মোট খরচ ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এছাড়া ২০১১ সালে ‘চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড’ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। একে একে ১১টি বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কাজ। চতুর্থ দফায় ব্যয় বাড়ানোয় ৮৫৬ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রকল্পের খরচ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকায়। ফলে বাড়তি ব্যয় যাচ্ছে ১৮১৯ কোটি ৬৮ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের বর্ধিত ব্যয় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে।

তথ্যসূত্র; সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর