খান মো. সাইফুল
দেশের রাজনীতি আজ কোন পথে যাচ্ছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। অথচ নির্বাচনের কোন সঠিক রূপরেখা জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না। আমরা কী উত্তরণের পথ পাব নাকি আরও জটিল হবে রাজনীতির মাঠ, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একদিকে বিদেশিদের ক্রমাগত চাপ, অন্যদিকে আমাদের সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা এমন অবস্থায় ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অঙ্গন। বিদেশিদের চাপের মুখে রাজনৈতিক কোন দলই সুবিধা আদায় করতে পারছে না।
রাজনীতির আদর্শ চর্চা না করে সব দলই বিদেশিদের পরামর্শভিত্তিক রাজনীতি করছে যা দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তি প্রদর্শন শুরু হয়ে গেছে। লাগামহীন কথাবার্তা, বিতর্কিত আলোচনা এমনকি ব্যক্তিগত আক্রমণ এসব কিছুই রাজনীতির জন্য অশুভ সংকেত। দুপক্ষ অনড় অবস্থানের কারণে শঙ্কা বাড়ছে রাজনীতিতে। আদৌ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে আছেন সাধারণ জনগণ। নির্বাচনকে সামনে রেখে সব দল নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। দফারফা, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি সবমিলিয়ে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত জনগণ। অনেকের প্রশ্ন আদৌ নির্বাচন হবে কিনা?
রাজনীতিতে থাকতে হবে সমঝোতা। দেশ ও জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে এক টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে হবে। যদি দুদলই তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি অনড় থালে এর মাশুল সাধারণ জনগণকেই দিতে হবে।
লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা ও সভাপতি-চট্টগ্রাম ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।