আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং জমা দেই নাই বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। বিএনপি’র মহাসচির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক বক্তব্যের জবাবে তিনি আরও বলেন, যারা বলে পাকিস্তান ভালো ছিল তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে, বিষদাঁত তুলে ফেলা হবে। আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ৭১-এর যেভাবে মাঠে নেমে ছিলেন সেভাবে মাঠে নামতে হবে। এবার অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ নয় ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের যুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে বলেছিল, পাকিস্তান আমল ভালো ছিলাম। পাকিস্তান আমলে এ অঞ্চলে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আমরা এলাকায় বর্ষাকালে জুতা পায় দিয়ে হাঁটতে পারতাম না। আর আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমালে সব দিক দিয়ে উন্নয়ন হয়েছে। এখন ভিক্ষুকও পাওয়া যায় না।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ভবনগুলোতে ক্যাপসুল লিফট লাগানো হবে। যাতে করে বয়স্ক ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধারা ভবনের বিভিন্ন তলায় উঠতে পারেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যেকটি কবর এক রকম করে পাকা করা হবে। যাতে করে ১০০ বছর পরও মানুষ দেখলে যেন বলতে পারে এটা মুক্তিযোদ্ধার কবর। মুক্তিযোদ্ধারা কিভাবে যুদ্ধ করল তাদের কাহিনী রেকর্ড করা হবে, রোজ কিয়ামত পর্যন্ত সেগুলো যেন আমরা সংরক্ষণ করতে পারি। আমরা যুদ্ধ নিয়ে সিনেমা বানাবো, নাটক বানাবো। যত জায়গায় বদ্ধভূমি আছে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করব। যত যুদ্ধের ঐতিহাসিক জায়গা আছে তা সংরক্ষণ করবো।
সভায় শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে।
এসময় এলজিইডির উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম, জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান ফরাজীসহ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply