অনলাইন ডেস্কঃ লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠছে জনগণের। নিত্যপণ্য কোনোটির দাম বাড়লে দফায় দফায় অভিযান চালিয়েও সেটির দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেড়েছে পেঁয়াজের দাম অন্যদিকে লাগামহীন মুরগির বাজার। এক সপ্তাহে ৫ টাকা কমলে পরের সপ্তাহে ১০ টাকা বাড়ে। স্বস্তি নেই মাছ ও সবজির বাজারেও। অভিযান চললে কমে ডিমের দাম, না চললে কমে না সেটির দামও। খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। নগরীর চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী বাজারে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। গরীবের মাংসের যোগান দেওয়া এই ব্রয়লার মুরগি এর আগের সপ্তাহে ধরে বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়। তারও আগে দাম ঠেকেছিল ১৯০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি সোনালী মুরগি ৩২০, লেয়ার ৩৫০ ও দেশি মুরগি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি ডিমের বাজার। শুভংকরের ফাঁকিতে চলছে ডিম বেচাকেনা। শুক্রবার প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, প্রতিডজন হাঁসের ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
চলতি মাসের শুরুতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ঠেকেছিল ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহেও প্রতিডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
এই বাজারের ডিম ক্রেতা আজাদ বলেন, সরকার বলছে ১২টাকায় ডিম বিক্রি করতে। দোকানে এসে কখনো ১২টাকায় ডিম পেলাম না।
একই বাজারে মুরগি বিক্রেতা মো. সাইফুল বলেন, সরবরাহ বেশি থাকলে এবং আমাদের কেনা কম পড়লে কম দামে বিক্রি করা যায়। কিন্তু আমরা বাড়তি দাম দিয়ে কেনার পর দামটা বেড়ে যায়।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা কমে টমেটো ১২০, কাচামরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা কমে শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি গাজর ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি বেগুন ৬০ থেকে ৭০, পটল ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, করলা ৭০ থেকে ৮০, চিচিঙ্গা ৫০, ঢেড়শ ৬০, লাউ ৫০ ও কচুর ছড়া ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি জোড়া লেবু বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
এদিকে মাছের বাজারেও মিলছে না স্বস্তি। এক কেজি ২শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬শ টাকায়, পাবদা ৪৫০, রুপচাদা (বড়) ১ হাজার, রুপচাদা (ছোট) ৮শ, তেলাপিয়া ২৪০ ও পাঙ্গাস ২শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: সিভয়েস২৪
Leave a Reply