আবদুর রাজ্জাক, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।। কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের অভিযানে অপহরণ ও ডাকাতি চক্রের সক্রিয় সদস্য সোহেল ও আব্দুল্লাহ প্রঃ ছুট্টু গ্রেফতার হয়েছে। বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মোঃ দস্তগীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। ররিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, গত ২০ জুলাই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৭ ঘটিকার সময় ভিকটিম মোহাম্মদ ইয়াছিন (২১), পিতা-আইয়ুব আলী মাতা-কহিনুর আক্তার সাং-শামলাপুর,পুরানপাড়া,০২ নং ওয়ার্ড, বাহারছড়া ইউপি, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারকে টেকনাফ থানাধীন বাহারছড়া ইউনিয়নের ঢালা রোড হতে অজ্ঞাতনামা আসামীরা অপহরন করিয়া নিয়ে যায়। পরবর্তিতে ২০ জুলাই রাত অনুমান ১০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা আসামীরা ভিকটিম ও তাহাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হইতে ভিকটিমের বাবার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করিয়া মুক্তিপণ বাবদ ১০, ০০,০০০/- টাকা দাবী করে। উক্ত মুক্তিপণের টাকা না দিলে ভিকটিমকে প্রাণে হত্যা করিবে বলেন।পরবর্তীতে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে ছেড়ে দেন।আসামীদের নাম ঠিকানা না জানায় বাদীর পরিবার পরিজন তাৎক্ষণিক মামলা না করার জন্য বাদীকে পরামর্শ দেন।পরবর্তীতে গত ৫ অক্টোবর ভিকটিম আসামী সোহেল,পিতা-নুরুন্নবী,মাতা-রুকসানা আক্তার,কে শীলখালী এলাকায় দেখতে পেয়ে চিনতে পারায় তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মোঃ দস্তগীর হোসেনকে সংবাদ জানান।ভিকটিমের দেওয়া তথ্যমতে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক নির্দেশনায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বরত ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম অভিযান চালিয়ে আসামী সোহেলকে গ্রেফতার করে। আসামী সোহেল ঘটনায় তার নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেন।এবং তার সঙ্গীয় হিসেবে আব্দুল্লাহ প্রঃ ছোট্টু পিতা-শামসুল হুদা (দফাদার) সহ আর ৯/১০ জন ছিলো বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ধৃত আসামী সোহেল এর দেওয়া তথ্যমতে আসামী আব্দুল্লাহ প্রঃ ছোট্টু কে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যান্য আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান আছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এবং মামলার প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।।