বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের ৮৯তম প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সদস্যরা। ইতিহাসের এই দিনে (১২ জানুয়ারি) বৃটিশ শাসনামলে মাতৃভূমির সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের অপরাধে তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, চট্টলগৌরব মহাবিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের ৮৯তম এই প্রয়াণ দিবসের স্মরণে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জে. এম সেন হলের সম্মুখে মাস্টার দার ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর তাঁর স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ্দীন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, অমর কান্তি দত্ত, সজল দাশ, হ্যাপী বড়ুয়া, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুস কুতুবী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন মানিক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘মাস্টারদা সূর্য সেনের জীবনদান ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবিস্মরণীয়। চট্টগ্রামে তিনি ব্রিটিশ শাসন থামিয়ে দিয়ে আড়াই দিন স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়েছেন। বিশ্ব ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন। মাস্টারদা সূর্য সেন, বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, তারকেশ্বর দস্তিদার, বিপ্লবী হাবিলদার রজব আলীর জীবন দানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীবাসীর সঙ্গে চট্টগ্রামের পরিচয় ঘটেছে।
বক্তারা আরো বলেন, ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে সূর্য সেনের জীবনদান কালজয়ী ইতিহাস হয়ে থাকবে। সভায় বক্তারা চট্টগ্রাম নগরীতে সিটি কর্পোরেশন প্রদত্ত ও ঘোষিত লালদিঘীর পাড়স্থ সূর্য সেন এভিনিউ নামের স্মরণী দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানান।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)