আজ ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সেন্টমার্টিন

বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে পর্যটকদের


বৈরি আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া ৪ শতাধিক পর্যটককে বিশেষ ব্যবস্থায় কক্সবাজারে ফিরিয়ে আনা হয়। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের
আশঙ্কায় সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উত্তাল জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি, আবহাওয়াও গুমোট।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে এবং যেসব পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন, তাদের মাইকিং করে জাহাজে তুলে সাড়ে ৩টায় কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।

স্কোয়াব সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর প্রচন্ড উত্তাল রয়েছে। এমভি কর্ণফুলী জাহাজ সেন্টমার্টিনে গেছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সব পর্যটকদের জাহাজে তুলে কক্সবাজারে পথে রওনা দিয়েছে। পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হতে পাঁচ থেকে সাত দিনও সময় লেগে যেতে পারে।

এমভি কর্ণফুলী জাহাজের কক্সবাজারের আঞ্চলিক পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্টমার্টিনে যেসব পর্যটক আটকে পড়েছেন, সবাই এই জাহাজের যাত্রী। সাগর উত্তাল হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের কক্সবাজারে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে জাহাজটি পুনরায় কক্সবাজার পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দ্বীপের তিন শতাধিক নৌকা, ট্রলার, স্পিডবোট জেটি ঘাটে নোঙর করা আছে। সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতি রোধে সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল ভবনগুলো খোলা রাখার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্বীপের মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর