আজ বিশ্ব প্রাণী দিবস। প্রতি বছর ৪ অক্টোবর প্রাণীদের কল্যাণে এবং তাদের অধিকার রক্ষার্থে দিবসটি পালিত হয়। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো, পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে প্রাণীদের কল্যাণের মাধ্যমে এদের অবস্থার উন্নতি করা। বিশ্ব প্রাণী দিবস উদযাপনের মাধ্যমে প্রাণী কল্যাণ আন্দোলনকে একত্রীত করা, একে আন্তর্জাতিকভাবে জোরদার করে পৃথিবীকে প্রতিটি জীবের জন্য উন্নততর বাসস্থান হিসেবে গড়ে তোলা।
জাতি, ধর্ম, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে দিবসটিকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালন করা হয়। অধিক জনসচেতনতা এবং শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বকে গড়ে তুলি যেখানে প্রাণীদের সংবেদনশীল প্রজাতি হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাদের কল্যাণে প্রাপ্য মনোযোগ দেয়া হয়।
সর্বপ্রথম হেনরিক জিম্মারমেন নামে এক জার্মান লেখক ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জার্মানির বার্লিনে দিবসটি পালন করেন। পরে ১৯৩১ সালে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের এক সম্মেলনে ৪ অক্টোবরকে বিশ্ব প্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সারা বিশ্বে দিবসটি পালন করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘ন্যাচার ওয়াচ ফাউন্ডেশন’। এছাড়া দেশে দেশে প্রাণি কল্যাণমূলক সংস্থাও দিবসটি পালন করে থাকে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। এভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির প্রাণী। এছাড়াও বাংলাদেশের অন্তত ২১৯ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিপন্ন। এই তালিকার মধ্যে আছে উভচর সরীসৃপ, পাখি, স্তন্যপায়ী প্রাণি।
প্রাণী নিয়ে আরও দিবস আছে। 'বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস' ৩ মার্চ। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর ‘পোষা প্রাণী দিবস’ প্রতিবছর ১১ এপ্রিল উদ্যাপিত হয়। মার্কিন প্রাণী কল্যাণ আইনজীবী নালী কলিন পেজ ২০০৬ সালে দিবসটির প্রবর্তন করেন।