আজ বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস। প্রতিবছর ২৭ অক্টোবর দিবসটি পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে দেশে চতুর্থবারের মতো দিবসটি উদ্যাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে পত্র-পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা দিবস-২০২২ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি চিকিৎসকেরা গবেষণাকর্মেও নিযুক্ত থাকেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি, নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমেই বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি, কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করা যায়, যা মানব কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সরকার ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গবেষণার বুনিয়াদ সৃষ্টি করা। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ করে এর গবেষণা ও শিক্ষা কর্মকাণ্ডকে প্রাধিকারমূলক কর্মসূচির আওতায় রেখেছি এবং সে অনুসারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কেননা নিজস্ব গবেষণা ব্যতীত দীর্ঘস্থায়ী ও যুগোপযোগী চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ ব্যাপার।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কোভিড-১৯ এর ৯৩৭টি জিনোম সিকোয়েন্স এর ওপর পরিচালিত গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহীতাদের ওপর গবেষণা কার্যক্রমের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি নিয়ে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের গবেষণার জন্য গবেষণা মঞ্জুরি প্রদান করা হচ্ছে। শুধু চিকিৎসাসেবা বা গবেষণা কার্যক্রম নয় উচ্চতর মেডিকেল শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ৫৬টি বিভাগ। এমডি, এমএস, এমপিএইচ, এমফিল, ডিপ্লোমাসহ ১০০টিরও বেশি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বিষয় চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউটের সংখ্যা ৪৬টি। দেশীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীরাও উচ্চতর মেডিকেল ডিগ্রি অর্জনের জন্য লেখাপড়া করছেন।