অনলাইন ডেস্কঃ আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ৬১তম ঐতিহাসিক ‘শিক্ষা দিবস’। ১৯৬২ সালের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল এ দেশের ছাত্রসমাজ। সেই লড়াইয়ে শহিদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে। তাদের স্মরণে প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠন আজ নানা কর্মসূচি পালন করছে। গতকালও অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্র সমাবেশ।
আরও পড়ুন সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষার্থী কমছে আশংকাজনক হারে, ফেসবুক পোস্টের মন্তব্য
পাকিস্তানের তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাস পর ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ‘শরীফ কমিশন’ নামে খ্যাত ওই কমিশনের প্রধান ছিলেন তৎকালীন শিক্ষা সচিব এসএম শরীফ। ১১ সদস্যের এ কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট প্রতিবেদন দেয়। এ কমিশন শিক্ষা বিষয়ে যেসব প্রস্তাব দিয়েছিল তা প্রকারান্তরে শিক্ষা সংকোচনের পক্ষে ছিল। আর এ কারণেই ছাত্রসমাজ ফুঁসে উঠেছিল।
সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। যথাযোগ্য মর্যাদায় সারাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
তথ্যসূত্র: সংগৃহীত