অনলাইন ডেস্ক
আজ ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকালে চশমাহিলস্থ কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জামে মসজিদে খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল । সকাল ১০টায় মরহুমের কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিকাল ৩টায় স্টেশন রোডস্থ হোটেল সৈকত অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
উক্ত কর্মসূচিসমূহ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সকল কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের রাজনীতি এবং আন্দোলন সংগ্রামে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী একটি নাম, যার জন্ম হয়েছিল ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরার বক্স আলী চৌধুরীর বাড়িতে। তার বাবা হোসেন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা। মায়ের নাম বেদুরা বেগম।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের রাজনীতি ধারণ করে কেটেছে পুরো জীবন। ১৯৬৮ ও ৬৯ সালে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। একেবারে শুরুর দিকে নুর আহমদ সড়কের নেভাল একাডেমি মোড়ে লড়াই করতে গিয়ে গ্রেফতার হন তৎকালীন ছাত্রলীগের এ নেতা। ছাড়া পেয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দলবল নিয়ে দেশে ফিরে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তিন তিনবারের মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন দলমত নির্বিশেষে সকলের নির্ভরতার জায়গা। চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ে তিনি ছিলেন সর্বদা উচ্চকণ্ঠ। কেন্দ্রীয় বড় পদের সুযোগ থাকলেও তিনি নিজেকে ‘চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন’ পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন।
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে তিনি নিজ দলীয় সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি। তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। দীর্ঘ সতের বছরের দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম মহানগরীকে তুলে ধরেছিলেন একটি পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে। জীবদ্দশাতেই অভিহিত হয়েছিলেন ‘চট্টলবীর’ হিসেবে।
Leave a Reply