আজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৭তম জন্মদিন। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি- এই চারটি বিভাগ নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। অবশ্য এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৬৫ সালে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি ও সমতল ভূমি মিলিয়ে ১৭৫৩.৮৮ একর ভূমিতে এর অবস্থান। শুরুর সময় সাতজন শিক্ষক ও ২০০ শিক্ষার্থী ছিলেন আয়তনে সবচেয়ে বড় এই বিদ্যাপীঠের। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর ড. আজিজুল রহমান মল্লিক।
দিনটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে শহীদ মিনার থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কার্যক্রম। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায় আলোচনাসভা হবে। প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান, সিন্ডিকেট সদস্য ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খায়রুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্যরা।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও সাতটি ইনস্টিটিউটে রয়েছে প্রায় ২৮ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের (৮টি ছেলেদের ও ৪ মেয়েদের) জন্য রয়েছে সর্বমোট ১২টি আবাসিক হল। এছাড়াও নগরের বাদশা মিয়া রোডে রয়েছে চারুকলা ইনস্টিটিউটের জন্য একটি হোস্টেল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।