অনলাইন ডেস্কঃ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) মহা সপ্তমী। অশুভ শক্তিকে বিতাড়িত করে ভক্তদের কষ্ট দূর করতে চলতি বছর দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে, আর বিজয়া দশমীর দিন একই বাহনে মর্ত্যলোক ছেড়ে কৈলাসে চলে যাবেন।
চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজা, দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে চলছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
সর্বজনীন পূজা আয়োজকরা জানান, শাস্ত্র অনুযায়ী মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে (ষোলো উপাদানে) দেবীর পূজা হবে। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। একই সঙ্গে দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। এ সময় পূজারীরা প্রতিমার সামনে বসে মায়ের মুখ দর্শন করবেন।
সনাতন ধর্মানুযায়ী দুঃখ-কষ্টের বিষয় যেমন- বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ-শোক, জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন মা দুর্গা। দেবী মা আসার ঘণ্টা বেজে যায় পিতৃপক্ষের অবসানের পর মহালয়ার দিন থেকেই।
শাস্ত্রকাররা বলছেন, দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায়, তিনিই দুর্গা। দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন দেবী। অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন।
আগামীকাল রবিবার (২২ অক্টোবর) মহাষ্টমী, সোমবার মহা নবমী ও মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দুর্গাপূজা সমাপ্ত হবে।
চলতি বছর মহাষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে রোববার সকাল ছয়টা ১০ মিনিটে ও বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে কুমারী পূজা। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত আটটা ছয় মিনিটে। সোমবার সকাল ছয়টা ১০ মিনিটে শুরু হবে নবমী পূজা। মঙ্গলবার দশমী পূজা শুরু সকাল ছয়টা ৩০ মিনিটে। পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল নয়টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। সন্ধ্যায় আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনব্যাপী এই উৎসবের।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক