আজ আন্তর্জাতিক ওজোন স্তর সুরক্ষা দিবস। দিবসটি বিশ্ব ওজোন দিবস হিসেবেও পরিচিত। ওজোন স্তরের ক্ষয় ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব ওজোন দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল-জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’।
১৯১৩ সালে ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস ফ্যাব্রি ও হেনরি বাইসন ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন। এ স্তরের বৈশিষ্ট্য বের করেন ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ জিএমবি ডবসন।
বায়ুমণ্ডলের এ ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সর্বপ্রথম ধরা পড়ে সত্তর দশকে। বর্তমানে মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতি ও অতিরিক্ত কার্বন ব্যবহারের কারণে এ ওজোন স্তর প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ওজোন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে সরাসরি প্রবেশের সুযোগ পায়। ফলে ধীরে ধীরে মানুষসহ সব প্রাণীই আক্রান্ত হচ্ছে ত্বকের ক্যানসারসহ নানা কঠিন ও জটিল রোগে।
তাই পৃথিবীর ওজোন স্তর সুরক্ষার নিশ্চিতে ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়।
১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে গৃহীত এ প্রটোকল অনুযায়ী, সদস্যদেশগুলো ২০৪০ সালের মধ্যে ওজোন স্তর ধ্বংস করে এমন গ্যাস উৎপাদন, ব্যবহার সীমিত ও নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশ এ মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাংলাদেশ পালন করে আসছে দিবসটি।