আজ ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আজ শুক্রবার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা


 

আজ শুক্রবার  মহাষ্টমী শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিনে । ঢাক-ঢোল, শঙ্খ আর উলুধ্বনিতে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা ছাড়াও এদিনের অন্যতম আকর্ষণ কুমারীপূজা ও সন্ধিপূজা। রামকৃষ্ণ মিশনসহ বিভিন্ন মণ্ডপে কুমারীপূজার আয়োজন করা হয়েছে।প্রতিবছরের মতো এবারও মহাষ্টমীতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে হবে কুমারীপূজা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারীপূজা।হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত এক থেকে ১৬ বছরের কুমারী কন্যাকে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। শ্রীরাম কৃষ্ণের কথামতে, কুমারী পূজার বিষয়ে বলা হয়েছে—শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর রূপ বেশি প্রকাশ পায় এবং মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য।

নির্বাচিত কুমারীকে মহাষ্টমীর দিন ভোরে নতুন কাপড় পরানো হয়। তাকে দেবীরূপে সাজিয়ে কপালে সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল দেওয়া হয়। এরপর কুমারীকে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপাচারে (ষোলো উপাদান) দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়। এ সময় শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বোল, উলুধ্বনি আর দেবী স্তুতিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক।সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমী এবং নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গার আরাধনা পুজোই হলো সন্ধিপূজা। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এ সময়। এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। নবমীর দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতে উৎসব শেষ হয়। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে এ রাতে।

অনলাইন ডেস্ক

 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর