স্পোর্টস ডেস্ক
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে দারুণ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত অল্প ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে ওই ম্যাচ একটি বার্তাও দিয়ে গেছে যে, এই দলটির সামর্থ্য রয়েছে বিশাল রান তাড়া করার। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে নামবে টাইগাররা। আজ বিকেল ৬টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। এই মাঠে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুই দলই রান উৎসব করে তুলেছে ৪০৯ রান। বাংলাদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এত বেশি রান আগে হয়নি। ব্যাটাররা মোট ছক্কা হাঁকিয়েছেন ২৩টি।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীর দুটি দুর্দান্ত ইনিংসে জয়টাও প্রায় হাতের নাগালে নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ রানে হারের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় শান্তবাহিনীকে। সেই কষ্টের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ এবার স্বাগতিকদের সামনে। দ্বিতীয় ম্যাচটি হতে যাচ্ছে তাদের জন্য সিরিজে ফেরার লড়াই। আর শ্রীলঙ্কার জন্য এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জেতার সুযোগ।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের সবশেষ ঘটনাটি ২০২১ সালের। সেবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাই হয়েছিল স্বাগতিকরা। এরপর দলে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে। তবে তার ফলাফল ভালোই হয়েছে। গত তিন বছর ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের মতো শীর্ষ দলকে ধবলধোলাইয়ের শিকার বানানোর অভিজ্ঞতাও হয়েছে টাইগারদের। সিরিজ জয়ের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ এখন তাদের সামনে।
গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ৬৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ ও অভিষিক্ত জাকের আলীর দুই ইনিংসে ম্যাচ জমে ওঠে। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে জাকের আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত সম্ভাবনার পাল্লাটা বাংলাদেশের দিকেই হেলে গিয়েছিল। ৩৪ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৬টি, যা বাংলাদেশিদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ। ম্যাচের সেরা প্রাপ্তি অবশ্যই জাকেরের ওই ইনিংস।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশ আসলে পিছিয়ে পড়েছিল বোলিং ব্যর্থতার কারণে। তিন পেসার রান খরচ করেছেন দেদারসে। প্রত্যেকেই চল্লিশের ওপরে রান দিয়েছেন। এর মধ্যে বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুরের শেষ ওভার থেকেই আসে ২৪ রান। আরেক পেসার শরিফুল এক ওভারে দেন ২১ রান। এভাবেই ২০০ পেরিয়ে যায় লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হলে বোলিংয়ের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।