আজ ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাঙ্গুনিয়ায় জমিতে তিন ফসলি চাষাবাদ আউশ ধান কাটা শুরু


নুরুল আবছার চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া >>>  রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় বোরো ধান তোলার পরেই সপ্ল সময়ের ভিতরে কৃষকের মধ্যে  ফলন দেখা দেয় আউশ ধানের। আউশ চাষবাদে সময় লাগে তিন মাস। জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়  কয়েক বছর ধরে আউশ ধানের চাষাবাদ  শুরু হয়। বোরো-আমনের পাশাপাশি আউশধান যুক্ত হয়ে এখন তিন ফসলি চাষাবাদ করছে রাঙ্গুনিয়ার কৃষকরা। মাঠে থাকা কৃষকদের সাথে কথা হয়, কম খরচে ফলন পাওয়ায় আউশ চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে কৃষকরা আর আগ্রহও বাড়ছে। উপজেলার কৃষি অফিস জানান, আউশ ধান চৈত্র-বৈশাখে বুনে আষাঢ়-শ্রাবণে কাটা হয়। বোরো কাটার ২৫ দিন পূর্বে আউশ বীজতলা তৈরি  হয়। বোরো ধান কাটার পর পরেই  আউশ রোপা শুরু করতে হয়। এতে করে এক জমিতে এখন তিনবার ধান উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে করে জমিতে ফসলের উৎপাদন এখন অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বের থেকে প্রচলন থাকলেও রাঙ্গুনিয়ায় আউশের আবাদ মধ্যে খানে অনেকটা কমে যায়।  ৫ – ৬ বছরের মধ্যে আউশের আবাদ আবার শুরু হয়েছে। গেল বছর রাঙ্গুনিয়ায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছিল। এ বছর প্রকৃতি অনুকুলে না থাকায়  উপজেলায় গতবারের তুলনায় এবারে কিছুটা আউশের আবাদ কম হয়েছে। কৃষক রহিম উদ্দীন জানান, এবারে  প্রতি হেক্টরে ৫ টন পর্যন্ত ফলনের আশা করা যায়।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি মাঠজুড়ে আউশের সোনালী ধান দুলছে। কৃষক জব্বার জানান, রাঙ্গুনিয়ার তৃণমুলে এখন আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে। অল্প দিনের ভিতরে কৃষকরা  ধান কাটা শেষ হবে। তিনি আরো জানান, আউশ চাষাবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। আবার অল্প সময়ে ফলন আসে। চন্দ্রঘোনার একজন কৃষক জানান, বেশ কয়েক বছর আগে নিজ উদ্যোগে চন্দ্রঘোয় প্রথম আউশ চাষাবাদ করেছিলেন তিনি। তাকে দেখে অনেকেই এখন আউশ চাষাবাদ করেছেন। উনার  কাছ থেকে বীজধান সংগ্রহ করে অনেকে আউশ চাষাবাদ করেছেন।

বেতাগী ইউনিয়নের একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। গত সীজন থেকে বেতাগীর এলাকায় আউশ ধান চাষাবাদ শুরু হয়। ওদিকে গুমাই বিলের পাড়ে আধুর পাড়া, ছুপি পাড়া ও পাঠান পাড়ার চৌধুরী গুট্টার একাধিক কৃষক জানান, আউশ ধানের চাষাবাদে কৃষি অফিস থেকে কোন রখম সহযোগিতা না পাওয়ার কারনে আমদের মাঝে তেমন উৎসাহ সৃষ্টি হচ্ছে না। শুনেছি এ ব্যাপারে সরকারি প্রণোদনা  আসে, ওই বিষয়ে কৃষি অফিস থেকে আমরা কোন রখম সহযোগিতা পাচ্ছি না। উপজেলা কৃষি অফিস জানান, আউশের উৎপাদন বাড়াতে বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।  প্রতিবারে রাঙ্গুনিয়ার ৫০০ জন কৃষককে ৫ কেজি করে বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। আউশ চাষাবাদ অনেকটা বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর