অনলাইন ডেস্কঃ আরেকটি ঘুর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির দেয়া তথ্যানুসারে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আগামি কয়েকদিনে এটি গভীর নিম্নচাপ এমনকি ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে।
মালদ্বীপের দেওয়া নতুন এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মিধিলি’। এটি বাংলাদেশে আঘাত হানবে কী না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, মিধিলি ভারতের ওডিশাতে আঘাত হানতে পারে। তবে বাংলাদেশ বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঘুর্ণিঝড়টির আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অক্টোবর ও নভেম্বর ‘ঘূর্ণিঝড়প্রবণ’ মাস হিসেবে পরিচিত। দেশে সাধারণত মৌসুমি বায়ু আসার আগে এবং চলে যাওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় হয়। মৌসুমি বায়ু আসার আগে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়। আবার চলে যাওয়ার পর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ১৮৯১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৬২০টি ঘূর্ণিঝড় ও অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। আর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে ৯৪১টি। ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে অক্টোবর মাসে হয়েছে ২৫৫টি, নভেম্বরে ২১৯ ও ডিসেম্বরে ১০৫টি। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে অক্টোবরে ৪২টি, নভেম্বরে ৭৪ ও ডিসেম্বরে ২৮টি হয়েছে।
পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপটির প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। আগামি ১৮ নভেম্বর এর পর বৃষ্টিপাতের প্রবনতা হ্রাস পেতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে প্রাণহানি এবং বসতবাড়ি ও ফসলও নষ্ট হয়। এরপর সম্প্রতি আবার নতুন এই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানালেন আবহাওয়াবিদেরা।