অনলাইন ডেস্কঃ চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারকে এবার একটু ভিন্নরূপে গড়ার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউট এর সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রেখেছেন।
প্রস্তাবগুলো হলো-নিমিতব্য শহিদ মিনারটি দর্শনার্থী এবং জনবান্ধব হিসেবে গড়া, বয়স্কদের উপযোগী সিড়ি নির্মাণ এবং পথচারীরা যাতে সহজে শহিদ মিনারটি দেখতে পারে। এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে শহিদ মিনারটি নির্মাণ করার আহ্বান জানানে মেয়র।
সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। আগামি ২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় পুনরায় আরেকটি সভা করার পাশাপাশি প্রতি মাসের ২য় শনিবার সকাল ১১টায় শহিদ মিনার নির্মাণ সংক্রান্ত সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, কবি সাহিত্যিক কলামিস্ট আবুল মোমেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, ১৪ দলীয় জোট নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দু নন্দন দত্ত, মিটুল দাশ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস আলম, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, গাজী মোঃ শফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, আব্দুল হালিম দোভাষ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার, চসিকের উপ-সচিব আশেকে রসুল চৌধুরী টিপু, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু, মুক্তিযোদ্ধা আবু তৈয়ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ, অঞ্চল চৌধুরী, শারমিন হোসেন, শীলা দাস গুপ্তা, সুচরিত দাস খোকন, শেখ শওকত ইকবাল, প্রদীপ খাস্তগীর, নূর নবী মিলন, মো. আলী টিটু, দেবাশীষ সূত্র, অনন্য বড়ুয়া, অলক মাহমুদ, প্রণব চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান, চন্দন পাল, অসীম বিকাশ, প্রকল্প পরিচালক লুতফুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বদরুল আলম খানসহ সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কে সি দে রোডে মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ভেঙে একটি সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স বা সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণ করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে এর কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের অধীনে আছে, মুসলিম ইনস্টিটিউট হল ও পাবলিক লাইব্রেরির অংশের পুরনো স্থাপনা ভেঙ্গে ১৫ তলা গণগ্রন্থাগার ও আটতলা অডিটৈারিয়াম ভবন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংস্কার, ২৫০ জন ধারণক্ষমতার একটি উন্মুক্ত গ্যালারিসহ মুক্তমঞ্চ, ক্যাফে ও ছোট জাদুঘর।