মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ও তিন বছরের অধিক অনাবাদি রাখা আবাদযোগ্য পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার লক্ষে অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরণ ও খাস করণের কাজ শুরু করেছে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দোহাজারী ও সাতবাড়িয়া তহসিলের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন জমি পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক।
পরিদর্শনকালে তিন বছরের বেশি সময় ধরে অনাবাদি আছে এমন কয়েকটি জমিতে সতর্কতা স্বরূপ "এই জমি তিন বছরের অধিক অনাবাদি হওয়ায় খাস করণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে" লেখা সম্বলিত ব্যানার ও লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া এই সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং অনাবাদি জমিতে দ্রুত চাষাবাদ শুরু করতে মাইকিং করে স্থানীয় জনগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরণ ও খাস করণের কার্যক্রম চলমান থাকবে উল্লেখ করে চন্দনাইশ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, "আবাদযোগ্য জমি পতিত না রেখে জমির শ্রেণি অনুযায়ী ফসল উৎপাদন করতে হবে। কোনো কৃষি জমি পরপর তিন বছর অনাবাদি থাকলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তি তার জমি কৃষি কাজে ব্যবহার না করে পতিত রাখলে উক্ত জমি রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ৯২ (১)(গ) ধারা মোতাবেক খাস করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেশের আবাদযোগ্য সব জমি আবাদের আওতায় আনার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে, "জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো জমিই আবাদের বাইরে রাখা যাবে না।" এ সংক্রান্ত আদেশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। তারই আলোকে আমরা অনাবাদি জমি চিহ্নিতকরণ ও খাস করণের কার্যক্রম শুরু করেছি। পুরো উপজেলায় এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।