সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল:
বিপুল আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা বিশ্বম্ভর চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠান ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। জোয়ারা বিশম্ভর চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের পূণর্মিলনী ২০২৪ উপলক্ষ্যে দু'পর্বের দিনব্যাপী অনুষ্ঠান প্রারম্ভিক বা প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের সভাপতি তিনকড়ি চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ইউনুস। আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট কামেলা খানম রূপা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব মু. মাহাবুবুল আলম খোকা, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু আহমেদ চৌধুরী জুনু, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্রী গৌরচাঁদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক প্রমোদ রঞ্জন বড়ুয়া, স্মরণিকা (সৌহার্দ্য) সম্পাদক মো. আরশাদ উল্লাহ প্রমুখ।
বৈকালিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব ও সাবেক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দিলীপ চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)'র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডা. মাহমুদুর রহমান (৬৭ ব্যাচ), যমুনা ব্যাংকের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার চৌধুরী (৬৯), বার্জার পেইন্টের সাবেক সিইও নাজিম উদ্দীন হেলালী, এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, জসিকা গ্রুপের ওনার আলহাজ্ব মো. জসিম উদ্দিন আহমেদ, আবদুল মান্নান, অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চন্দনাইশ সমিতি-চট্টগ্রামের প্রধান উপদেষ্টা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাদাত হোসেন, ট্রাস্টি চেয়ারম্যান রিহাব প্রেসিডেন্ট আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, আবদুর সবুর অপু, শিল্পপতি উৎপল রক্ষিত, উৎপল বড়ুয়া, আজিজুর রহীম, জাহাঙ্গীর মো. আবদুর রহমান, বিএসআরএম'র হাবিবুর রহমান বেলাল, প্রথম ব্যাচ তথা ১৯৫২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রবীণ গোপাল কৃষ সরকার, জানিপপ মহীউদ্দীন, বিমক বিশ্বাস প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তাপস বড়ুয়া, সীমান্ত বড়ুয়া বিপুল বড়ুয়া, সুজন সরকার, লটারি ড্র পরিচালনা করেন রূপক কুমার রক্ষিত, মো. মহসিন প্রমুখ।
এসময় এলডিপি প্রেসিডেন্ট প্রাক্তন মন্ত্রী ড. কর্নেল (অব.) আলহাজ্ব অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেন, আলোকিত সমাজ বিনির্মানে শিক্ষক ও শিক্ষিতদের ভূমিকা রাখতে হবে। রাজনীতি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয় তবে সমাজে সকলের সহাবস্থান প্রয়োজন। এ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি বের হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে, শিক্ষকরা সম্মানিত হবে। তিনি বলেন, তাঁর বর্তমান অবস্থার জন্য তাঁর শিক্ষক বিনোদ বিহারী দত্তের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এক সময় এই এলাকায় কলেজ তো দূরের কথা তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। তিনি ৬ বার এমপি হয়েছেন, তিনবার মন্ত্রী হয়ে এলাকার শিক্ষা বিস্তারে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, মাদরাসা, কলেজ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সুরেন্দ্র চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন এবং পতাকা পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রাক্তন, বর্তমান ও প্রয়াত শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান, ১৯৫২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি, আড্ডা, স্মরণিকা প্রকাশ, ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামের মেজবান ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়