অনলাইন ডেস্কঃ লিক্যুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জটিলতায় সংকটে পড়েছে চট্টগ্রামবাসী। গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় বাড়ছে লোডশেডিংও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সহসা এই সংকটের সমাধান হবে না, সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সময় গড়াবে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম নগরীতে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্ন হওয়া শুরু হয় শনিবার (২১ অক্টোবর) থেকে। আজ রবিবারও একই পরিস্থিতি ছিলো। সকালে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাসা-বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, আবার বিকালের দিকে এই সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
জানা গেছে, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডও এলাকাভিত্তিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নতুন আমদানি চুক্তি করতে পারছে না পেট্রোবাংলা। চট্টগ্রাম নগরসহ সারাদেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাস সংকট থাকবে। পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, চাহিদা মোতাবেক বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি হচ্ছে না। চাহিদা অনুসারে পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকার কারণে ৭শ’ মিলিয়নের বিপরীতে ৬শ’ মিলিয়ন সরবরাহ করছে পেট্রোবাংলা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এলএনজি গ্যাস টার্মিনালের কাতারসহ বিভিন্ন স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু নতুন করে টেন্ডার করা যাচ্ছে না। টেন্ডারের দাম বেশি ও পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নতুন করে চুক্তি করা যাচ্ছে না।’
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এরমধ্যে গৃহস্থালী সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০-৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা মোতাবেক গ্যাস সরবরাহ কম। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও এক মাস সময় লাগতে পারে।’
এদিকে পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, ‘আগামী ২ মাস পর গ্যাস সরবরাহ সব স্বাভাবিক হতে পারে। বাংলাদেশে গ্যাস আমাদানি কমে গেছে। অন্যদিকে নভেম্বরে আমাদের একটি টার্মিনাল বন্ধ হবে। ফলে গ্যাস স্ংকট চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেবে।’
তথ্যসূত্র: সিভয়েস২৪