বান্দরবান-মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। তবে এখনো সীমান্ত পাড়ের বাসিন্দাদের মনে আতংক কাটেনি।
স্থানীয়রা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘ দিন পর গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছেনা। বন্ধ হয়েছে মায়ানমান সেনা বাহিনীর হেলিকপ্টার ও যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া গুলি ও গুলির শব্দ। গত প্রায় এক মাস ধরে প্রতিদিন ভোর হতে রাত পর্যন্ত শোনা যেত মায়ানমার সেনা বাহিনীর মর্টারশেলের গোলার শব্দ ও বিমানের বোমা বর্ষনের বিকট শব্দ।
আজ (৫ সেপ্টেম্বর)সোমবার সকাল থেকে এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত কোন ধরনের গোলা গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা রেজু গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উক্যচিং তংচংগা চাকমা।
সরেজমিনে সীমান্তের সোনাইছড়ি, বরইতলী, বৈদ্দের ছড়া, গর্জন বুনিয়া, বাইশ পাড়ী, তুমব্রু ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ একমাস পর সীমান্তে আজ গুলাগুলির শব্দ বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও আতংক কাটেনি। যে কোন সময় আবারও গোলা গুলি করতে পারে মায়ানমার বাহিনী।
এদিকে এতদিন মায়ানমার সামরিক বাহিনীর গুলাগুলির কারনে সীমান্ত পাড়ের স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা আতংকে ছিল।
গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা বলেন, প্রতিদিন মায়ানমার সামরিক বাহিনীর গোলা গুলি তে বিদ্যালয়ে বিকট শব্দ শোনা যেত। এতে ছাত্র ছাত্রীদের মনে আতংক দেখা দেয়। বিষয়টা তিনি বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা কে অবহিত করেছিলেন।
সরজমিন আরো জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় গোলা গুলি বন্ধ হলেও বিজিবির টহল ছিল জোরদার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এখন শান্ত হলে ও আমাদের নজরদারি কড়া এবং টহল জোরদার রয়েছে।
এবিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাংগীর আজিজ বলেন, দীর্ঘ দিন গোলা গুলি হলেও সীমান্ত আজ কোন গোলাগুলি নেই। শ্রমিকরা কাজে ফিরছে, ক্ষেত খামারে ফিরছে কৃষকেরা। বিজিবি'র টহল অব্যাহত রয়েছে। আশা করি শান্তি ফিরে আসবে। আমি সকলকে নির্ভয়ে কাজে ফেরার আহবান জানিয়েছি।