আজ ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্কঃ কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম-২০২৩ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেডআই ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্বে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন, দুই দিনের ফোরাম সম্মেলন বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে, যা অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অর্জন ও গতিশীল শিল্প খাতের সম্ভাবনা প্রদর্শন করবে এবং প্রতিশ্রুতশীল দেশি ও বিদেশি বিনিযোগকারীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক স্থাপন করবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করার চেষ্টা করছি, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ব্যবসা এবং বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও আরামদায়ক করে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিডব্লিউইআইসি এর চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ প্রসারের লক্ষে ২০২২ সালে প্রবর্তিত দ্বিতীয় ‘কমনওয়েলথ-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গ্রিন ইনভেস্টমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।

উগান্ডার ইকো ব্রিকস পুরস্কার বিজয়ী হওয়ায় এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে এই পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। শুরুতেই বাংলাদেশে কমনওয়েলথ ব্যবসা ও সুযোগের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। দুই দিনব্যাপী ফোরামে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা ১২টিরও বেশি সেশনে অংশ নিচ্ছেন।
কমনওয়েলথ হল ৫৬টি দেশের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত হয় এবং বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের আবাসস্থল। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।

তথ্যসূত্র: বাসস


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর