নিউজ ডেস্ক >>>নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের একক ক্ষমতা আবারও ফিরে পেল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে এসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে এক গেজেটে বিইআরসি আইনে ৩৪(ক) ধারা সংযোজন করে নির্বাহী আদেশে দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় নির্বাহী বিভাগকে।
১৮ আগস্ট প্রথম দিন অফিসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছিলেন, ‘নির্বাহী আদেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হবে না।’
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নয়, সরকারকে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয়ের ক্ষমতা দিয়ে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।
অধ্যাদেশে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা শিরোনামে ৩৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়। ওই ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।’
পরে সংসদ বসলে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছিল গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেলের দাম। এটি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।