অনলাইন ডেস্কঃ এলডিসি উত্তরণে শিল্পায়নের ৪ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ। সেগুলো হলো-রপ্তানিমুখী শিল্পে গবেষণা, প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উৎসাহমূলক প্রণোদনা। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হল এ অনুষ্ঠিত সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শিল্পায়ন ছাড়া জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে হলে বেসরকারি খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাধাগুলো দূর করতে হবে। প্রতিযোগী রপ্তানিকারক দেশের সঙ্গে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার ব্যবধান কমাতে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী আরো কয়েক বছর সময়ের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন কঠোর করনীতি প্রত্যাহারসহ বেসরকারি খাত উন্নয়নে ১২ প্রস্তাব চেম্বার সভাপতির
সেমিনারটিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও কমিশনার অব কাস্টমস মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান। চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, কনফিডেন্স সিমেন্টের এমডি জহির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, বিএসআরএমের সিনিয়র ম্যানেজার আলী মাহবুব হোসেন, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশের পরিচালক লোকপ্রিয়া বড়ুয়া, পর্যটন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ফ্রোজেন মিট ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এনায়েতুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক খান স্বপন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি মহানগরের সভাপতি সালামত আলী, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান বক্তব্য দেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য হায়দার চৌধুরী।
এসময় চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, ‘পর্যাপ্ত ডাটা না থাকার কারণে চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানি করে ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ীরা। তাই আমদানির ক্ষেত্রে ডাটা ব্যাংক তৈরি এবং চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ট্যারিফ কমিশনের কার্যক্রম আরো বাড়াতে চট্টগ্রামে বিভাগীয় কার্যালয় চালু করা যেতে পারে।’