নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ যাতায়াতে অন্যতম নদীবন্দর কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটটির পরিচালনার দায়িত্ব বিআইডব্লিউটিএ’কে দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে, গেজেট অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ নৌ-বন্দরের মালিক হওয়ায় জেলা পরিষদের ইজারা কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর ঘাটের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রীট পিটিশন (নং-১১৯১৫/২০২৩) দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান। শুনানী শেষে রুলনিশি প্রদানসহ অন্তর্বর্তীকালীন (পরবর্তী ছয় মাসের জন্য) এই আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানসহ ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে জেলা পরিষদের ইজারা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করে বিআইডব্লিউটিএ। ২০২০ সালের বাংলাদেশ সরকারের গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী কুমিরা-গুপ্তছড়া টার্মিনাল জেটিঘাট বিআইডব্লিউটিএ’র সীমানাভুক্ত। এ কারণে এই সীমানায় অন্য কোনো সংস্থার ঘাট ইজারা কিংবা অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে সংস্থাটির বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘নদীবন্দর রক্ষা এবং নদী শাসনের সকল সুবিধা রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র। এই দুটি ঘাটে সরকারি বরাদ্দের শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেছি আমরা। প্রায় সাড়ে ছয়শ মিটার লম্বা করে কুমিরা ঘাট এবং প্রায় সাতশ মিটার লম্বা গুপ্তছড়া ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই ঘাটেই স্থাপন করা হয়েছে যাত্রী ছাউনি। লঞ্চ চলাচলের জন্য এবং নদীর নাব্যতা রক্ষায় নিয়মিত ড্রেজিং করা হয়। এগুলোর সক্ষমতা রয়েছে কেবল বিআইডব্লিউটিএ’র। এছাড়া বন্দর আইন অনুযায়ীও নদীবন্দর, ঘাটের ইজারা দেয়ার এখতেয়ার রয়েছে আমাদের। এসব বিষয় বিবেচনা করে মহামান্য হাইকোর্ট আমাদের সংস্থাকে ঘাট কার্যক্রম পরিচালনার আদেশ দিয়েছেন।’