চট্টগ্রামে বেড়েই চলছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় ৬৩ জন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান, তীব্র গরমের পাশাপাশি খাবারের সঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ডায়রিয়ায় ভুগছেন রোগীরা।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ১৪ উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১ জন পটিয়া উপজেলায়, ৮ জন বাঁশখালী উপজেলায়, ৭ জন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন ৬৭ জন।
বিআইটিআইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তামানে এই হাসপাতালে ৪০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া গত পাঁচদিনে হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩৪ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন। আক্রান্তের বেশিরভাগই এসেছেন কাট্টলি, সাগরিকা, কর্ণেলহাট, ইপিজেড, হালিশহর এলাকা থেকে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে ঠিক কি কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে হাত না ধুয়ে কোনো কিছু খেলে বা বাসি-পচা খাবার খেলেও ডায়রিয়া হতে পারে। পানির মাধ্যমে ডায়রিয়ার জীবাণু বেশি ছড়ায়। তাই পানি ফুটিয়ে পান করা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।
সাধারণত বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির পায়। এজন্য আগাম সতর্কতার অংশ হিসাবে ১৫টি উপজেলায় ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে ওয়াসার পানি থেকে এ রোগ ছড়াচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি টিম চট্টগ্রামে এসেছে।
জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া বলেন, ‘আইইডিসিআর’র সাত সদস্যের টিম শুক্রবার চট্টগ্রাম এসেছেন। তারা প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। শনিবার (২০ আগস্ট) থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করছেন। সাত সদস্যের টিমে আছেন ডা. মো. ওমর ফারুক, ডা. সোনাম বড়ুয়া, ডা. ইমামুল মুনতাসির, ডা. সাদিয়া আফরীন, ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আজিজুর রহমান ও মো. আমিরুল ইসলাম।