অনলাইন ডেস্কঃ বস্ত্র ও পোশাক খাতের চারদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বিটিএমএ।
বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘পূর্বাচলে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শনী শুরু হবে এবং চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। প্রদর্শনী প্রতিদিন দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ৮টায়।’
তিনি বলেন, ‘টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস মেশিনারি প্রস্তুকারক ১১’শ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে। ৩২টি দেশের এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে ১৬’শ বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে।’
এসময় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গ্যাসের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করে আগের দামে ফেরত যেতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করার কথা বলে গত বছর গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, কিন্ত পেট্রোবাংলা নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস দিতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে তারা আগের দামে ফেরত যাক; নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে দাম আবার বাড়ানো হোক।
আরও পড়ুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের যুগপূর্তি
সংবাদ সম্মেলনে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর গ্যাস প্রাপ্তির চিত্র তুলে ধরেন মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেন, এক মাস বা তারও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, আড়াইহাজার ও নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত টেক্সটাইল মিলগুলোতে সরবরাহকৃত গ্যাসের গড় পিএসএফ শূন্য থেকে ২-এর মধ্যে। শুধু নারায়ণগঞ্জের বিসিক ও তার আশপাশের এলাকায় গত ১৫ দিন যাবৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। গ্যাস সরবরাহ না থাকায় মিলগুলোর উৎপাদন শূন্যের কোঠায়। মাঝেমধ্যে গ্যাস সরবরাহ থাকলেও চাপের ওঠানামার কারণে মিলের যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। সে জন্য রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে প্রয়োজনীয় সুতা ও কাপড় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
মোহাম্মদ আলী খোকন আরও বলেন, গ্যাস না থাকলেও মিলগুলোকে ন্যূনতম গ্যাস বিল বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হচ্ছে। গ্যাস সংকটের কারণে বয়লার চালু করা সম্ভব হচ্ছে না, বন্ধ আছে ফেব্রিক প্রসেসিং। উৎপাদন না হওয়ায় সময়মতো শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা দেওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্পন্ন সরবরাহ নিশ্চিত না হলে বস্ত্র খাতে নতুন বিনিয়োগ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
তথ্যসূত্র: বাসস