চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ
চন্দনাইশের কৃতিসন্তান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবী সাহিত্যিক আহমদ ছফার ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার (২৮ জুলাই) সকালে চন্দনাইশ সাহিত্যিক আহমদ ছফা পরিষদের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ভাষাসৈনিক আবুল কালাম আজাদ এডুকেশন সোসাইটি গ্রন্থাগারে
স্মারক আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা-পুরস্কার বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ-চারা বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
চন্দনাইশ সাহিত্যিক আহমদ ছফা পরিষদের সভাপতি শাহজাহান আজাদের সভাপতিত্বে ও চন্দনাইশ সাহিত্যিক আহমদ ছফা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. নুরুল আলমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পটিয়া হুলাইন ছালেহ্-নূর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ্ব মো. তৈয়বুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন চন্দনাইশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবিদুর রহমান বাবুল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ফতেনগর শরীফুন্নেছা নজির উদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিক ও লেখক ছৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের চন্দনাইশ উপজেলা শাখার সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল হাছান চৌধুরী, সংগঠক জাহিদুল ইসলাম জাহি, রহমানিয়া জামে মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সেক্রেটারি সাবেক ব্যাংকার নুরুল আলম, দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ হোসাইন, শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দীন, শিক্ষক কাজল কান্তি বড়ুয়া, সংগঠক মোঃ টিপু সুলতান, কর্পোরেট ম্যাজিসিয়ান সুভক বড়ুয়া, সাংবাদিক মোঃ আমিন উল্লাহ টিপু, হাফেজ মোঃ ইয়াছিন, হাফেজ মোঃ রিফাত হোসেন কাদেরী, চন্দনাইশ সাহিত্যিক আহমদ ছফা পরিষদের সদস্য যথাক্রমে কাজী মোশারফ হোসেন মিশু, জুবায়ের আজাদ, পারভেজ উদ্দীন, আবদুল্লাহ ফয়সাল প্রমুখসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ছফাপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিল দক্ষিণ গাছবাড়িয়া রহমানিয়া আহমদীয়া এ,এস (স্বতন্ত্র) ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানায় খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল।
বক্তারা বলেন, চন্দনাইশের সন্তান বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাওয়া আহমদ ছফা একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অনন্য সাহসী স্পষ্টভাষী লেখক সাহিত্যিক। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে। তিনি স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন। আহমদ ছফা লেখা সাহিত্যকর্ম বিশ্ব সাহিত্যের অনন্য সম্পদ। তরুণ প্রজন্ম আহমদ ছফার লেখা বই যত বেশি পড়বে তাদের মেধা তত বেশি শাণিত হবে। জাতি উপকৃত হবে।
Leave a Reply