মুহাম্মদ আরফাত হোসেন- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল ২ মাস ধরে ভেঙ্গে পড়ে থাকলেও মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এডহক কমিটি অনুমোদনবিহীন নির্মাণ করেছেন স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে ঝড় হাওয়ায় বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে সড়কের পাশে বাউন্ডারী ওয়ালে গাছ পড়ে ওয়ালের বেশকিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে পড়ার কারণে অরক্ষিত হয়ে পড়ে বিদ্যালয়টি। দীর্ঘ ২ মাস অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ বাউন্ডারী ওয়াল মেরামতের কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। গত ১১ অক্টোবর নিয়মিত কমিটি অনুমোদনের পর গত ৮ নভেম্বর প্রথম সভায় কো-অপ্ট সদস্য না নেয়ায় অভিভাবকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বিগত ৬ মাসের এডহক কমিটির অধীনে পূর্বের কমিটির নির্মাণাধীন স্মৃতিসৌধ নিয়ে আপত্তি উঠায় তা ভেঙ্গে নতুনভাবে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে শহীদ মিনার। বিধিমালা অনুযায়ী এডহক কমিটি বেতন বিল ছাড়া কোন ধরণের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার সুযোগ না থাকলেও তা করা হয়েছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এ বিদ্যালয়ে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার বড়ুয়া বলেছেন, এ সকল বিষয়ে সভাপতি বলতে পারেন। পূর্বে এডহক কমিটি ও বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এড. সিরাজদ্দৌল্লাহ বলেছেন, জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্মৃতিসৌধের নকশা নিয়ে আপত্তি উঠার কারণে তা ভেঙ্গে ফেলতে হয়। পুনরায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ না করলে জেলা পরিষদের ১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে হবে বিধায় বিদ্যালয় ফান্ড থেকে অর্থ দিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। সে সাথে বাকি ১ লক্ষ টাকার জন্য জেলা পরিষদে আবেদন করা হয়েছে। অপরদিকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাশাপাশি শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ২টি একসাথে উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি জানান।