আজ ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তারেকের ৯ বছর, জোবায়দার ৩ বছরের কারাদণ্ড


অনলাইন ডেস্ক

ঘোষিত আয়ের বাইরে সম্পদের মালিক হওয়ার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই ধারায় ৯ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আইনের দৃষ্টিতে পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারিরও আদেশ দিয়েছেন তিনি।

১৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেকের বিরুদ্ধে এ নিয়ে পাঁচ মামলায় সাজার রায় এল।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ও তার স্ত্রী বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এই মামলাটি হয় ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। তখন তারেক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

২০০৮ সালে তারেক জামিনে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান চিকিৎসার জন্য। এরপর তিনি আর দেশে ফেরেননি। প্রবাসে থেকেই বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি। মা কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ নেন তিনি।

তারেক বিদেশে থাকা অবস্থায়ই এর আগে চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় আসে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে দুই বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং একুশে অগাস্টের গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় তার।

জোবায়দা চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরিতে ছিলেন। ছুটি নিয়ে যাওয়ার পর আর কর্মস্থলে না ফেরায় ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করে সরকার। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে স্বামীর অপরাধে সহযোগিতা এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

বিএনপি বরাবরই বলে আসছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় তাদের নেতার বিরুদ্ধে সাজানো রায় হচ্ছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং আদালতের উপর নির্বাহী বিভাগের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

এ মামলার রায় ঘিরে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তার মধ্যেই আদালতের বাইরে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, ঢাকা বার ইউনিটের ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানারে লেখা ছিল: ‘তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা মিথ্যা রায় মানি না, মানব না’। ‘

রায়ের পর জুতা হাতে মিছিলে নামেন তারা। এ সময় তারা ‘ফরমায়েশি রায় মানি না’ বলেও স্লোগান দেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর